নতুন ভোটার হতে যা লাগবে

অনলাইন ডেস্ক :

 

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার (২০ মে) থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাই কার্যক্রম আজ থেকে পরবর্তী ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত অথবা শুরুর তারিখের পরবর্তী ৩ সপ্তাহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

 

নতুন ভোটার হতে বেশকিছু কাগজপত্র লাগবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (চলতি দায়িত্ব) এস এম আসাদুজ্জামান।

 

তিনি জানান, নিবন্ধনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পূরণকৃত নিবন্ধন ফরম-২ এর সাথে অনলাইন জন্ম সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অথবা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা বা যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা পাসের সনদের ফটোকপি; নাগরিক সনদ, প্রত্যয়নপত্র/বাড়ি ভাড়া/হোল্ডিং ট্যাক্স/যেকোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধের রসিদের কপি জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

 

২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম হাতে নেয় ইসি। সেই সময় ৯ কোটি ভোটারের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। ইসির সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী ভোটার এবং ৪৫৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে।

 

ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় পূরণ করা তথ্যের কপি নিবন্ধন কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সরবরাহ করা হবে। এতে নাগরিকের নাম, জন্ম তারিখ ঠিক আছে কি-না তা দেখে ভুল থাকলে তাৎক্ষণিক সংশোধন করার সুযোগ পাবেন। মাঠপর্যায়ে এবারই প্রথম নাগরিকদের  জন্য এমন সুযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েন ইসি কর্মকর্তারা।

এই বিষয়ে ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, যেহেতু ভোটার তালিকার জন্য সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়া হয়। সে কারণে ভোটার তালিকায় কোনো ভুল হলে এনআইডিতেও ভুলটাই আসবে। তাই ভোটার তালিক নির্ভুল রাখার জন্য এবার নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ব্যক্তি তার তথ্য যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

 

সম্প্রতি ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত সব উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো এই সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, নিবন্ধন কেন্দ্রে ডাটা এন্ট্রির পর আবশ্যকীয় ফিল্ডসমূহের যথা নাম, পিতা/মাতা/স্বামী/স্ত্রীর নাম ও জন্ম তারিখ ইত্যাদি ডাটার একটি প্রিন্ট কপি ভোটারকে প্রুফ করে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা থাকবে। টাইপিং ভুল কমাতে ভোটারকে একটি প্রিন্ট কপি দেখাতে হবে এবং তাতে কোনো ভুল থাকলে তা লিখে নিয়ে ভোটারের স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে এবং নিবন্ধন ফরমের সাথে শিক্ষা সনদ ও জন্ম সনদের ন্যায় এটিও ডাটাবেজে স্ক্যান করে সংযুক্ত করে রাখতে হবে। এজন্য প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে একটি করে ডকুমেন্ট প্রিন্টারও থাকবে।

 

এছাড়া হালনাগাদের সময় নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক হিসেবে ছবি ও স্বাক্ষরের পাশাপাশি ভোটারের ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হবে এবং তা ইসির সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *