অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত-সমালোচিত নিজেকে কবি ও গায়ক দাবি করতা রোদ্দুর রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটির গোয়া রাজ্য থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন রোদ্দুর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন রোদ্দুর রায়।
সে সময় তাঁর নামে একাধিক থানায় এফআইআর করা হয়েছিল।
বলিউডের গায়ক কেকের মৃত্যু প্রসঙ্গেই একটি ফেসবুক লাইভ করেন রোদ্দুর রায়। ফেসবুক লাইভে এসে রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্য থেকে শুরু করে সেদিন নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকেও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে তাঁকে ‘দিদি’ সম্বোধন করেই একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকেন রোদ্দুর রায়।
শুধু নজরুল মঞ্চের ঘটনাই নয়, মমতার প্রশাসনিক বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ও দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযুক্ত করেন রোদ্দুর রায়।
এদিকে, গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা আগেই ফেসবুকে এসে পোস্ট দেন রোদ্দূর। এই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘কেস দাও মোরে…কেস দাও আরও…বন্ধ রাখিয়ো কারাগারে…কমেডির বিটে বাজিবেই ডিজে…’
উল্লেখ্য, মমতা ও অভিষেককে নিয়ে কটূক্তি করায় গত শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিৎপুর থানায় অভিযোগ করেন ঋজু দত্ত। তার অভিযোগ ছিল, রোদ্দূর সাম্প্রতিককালে অনলাইনে মমতা ও অভিষেক সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার নগরপালসহ কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকেও।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে রোদ্দুর রায় বলেছিলেন, ‘এফআইআর দায়ের হয়েছে, সেটা শুনেছি। এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। ’
রোদ্দুর রায় মূলত রবীন্দ্র সঙ্গীতকে নিজের বানানো সুরে গেয়ে আলোচনা আসেন। এরপরই তার কর্মকাণ্ডে মজা পেতে থাকে নেটিজেনরা। সংগীতশিল্পীর বাইরে নিজেকে কবি হিসেবেও প্রকাশ করেন। রোদ্দূর রায় নিজের ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলের সৌজন্যে যথেষ্ট পরিচিত নাম।