বাইক চালানো অবস্থায় ফোনে কথা, দুর্ঘটনায় প্রাণ সংশয় শিক্ষকের

নিউজ ডেস্ক:

 

এক হাতে মোবাইল, আরেক হাতে মোটরসাইকেলের স্টিয়ারিং। মাদরাসা শিক্ষক আ. সোবাহান হাওলাদার (৪১) এভাবে মোবাইলে কথা বলতে বলতে চালাচ্ছিলেন তার মোটরসাইকেলটি। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে আসছিল দ্রুতগতির একটি ইজি বাইক। তখন চলন্ত বাইক, না মোবাইল, কোনটি সামলাবেন তিনি?এমন দোটানায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইকটির ধাক্কা লাগে ইজি বাইকের সঙ্গে।

 

তাতেই তার চোখ, মাথা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে জখন হয়। এখন তার প্রাণ সংশয় অবস্থা। ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া-তালতলী সড়কে।

 

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ হওয়ায় অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) প্রেরণ করা হয় তাকে।

 

দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোটরসাইকেল এবং ইজি বাইকটিও। তবে ইজি বাইকের চালক এবং যাত্রীদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। আহত সোবাহন হাওলাদার দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের হেমায়েত হাওলাদারের ছেলে। তিনি উপজেলার নলবুনিয়া কাসিমুল উলুম কওমি মাদরাসার শিক্ষক।

 

প্রত্যক্ষদর্শী শাকিল তালুকদার বলেন, তিনি বাইক চালানোর সময় কানে মোবাইল রেখে কথা বলছিলেন। তখন অপরদিক থেকে আসা ইজি বাইক দেখে তিনি কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। একপর্যায় বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ইজি বাইকের সঙ্গে মেরে দেন। আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। বাইক চালানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলার কারণে তিনি মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন।

 

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্বজিৎ মজুমদার বলেন, দুর্ঘটনায় তার গলার নিচ, ডান চোখের পাশ এবং মাথা মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। অনেক রক্ত নেমে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত খুলনা মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *