কুষ্টিয়ায় সাইবার পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা সক্রিয় ২ মোটরসাইকেল চোর আটক

নিউজ ডেস্ক:

 

কুষ্টিয়া সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট ও কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২) দুপুর সাড়ে ১২ টায় আন্তঃজেলা সক্রিয় মোটরসাইকেল চোর চক্রের ২ জন সদস্য আটক সংক্রান্তে এক মিডিয়া ব্রিফিং করা হয়। পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত মিডিয়া ব্রিফিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মিনারুল ইসলাম (৩৮), পিতা-মৃত আতিয়ার রহমান, সাং-গোবিন্দপুর, থানা-মিরপুর, জেলা-কুষ্টিয়ার গত ২২ আগস্ট ২০২২ তারিখ রাত অনুমান সাড়ে ৮ টায় কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন বারখাদা ঈদগাহ পাড়া জামে মসজিদের সামনে তার ব্যবহৃত ডিসকভারী-১০০ সিসি মটরসাইকেল রেখে নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করেন। নামাজ আদায় শেষে মসজিদ থেকে অনুমান ১০ মিনিট পর বের হয়ে দেখেন তার মোটরসাইকেলটি সেখানে নেই। মূলত নামাজ পড়ার সুযোগে অজ্ঞাতনামা চোরেরা মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়।
মোটরসাইকেলটি চুরি হওয়ার পর কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট (CCIU) নিরলসভাবে পরিশ্রম করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২ জন আসামিকে আটক ও ১টি চোরাই লাল রঙের ডিসকভারী-১০০সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে, যার রেজিঃ নং-কুষ্টিয়া-হ, ১২-৬৬০৮. চেসিস নং- MD2DSPAZZTWD – ৯০৮৩১, ইঞ্জিন নং – JBMBTD – ৯০১৪৫, যার মুল্য – ১,২৩,০০০/-(এক লক্ষ তেইশ হাজার)টাকা।
আটককৃত আসামিদের একজন হলেন মোঃ শাহীন আলম (৩০), পিতা-মোঃ আবুল বাশার,সাং- বটতৈল মিলপাড়া,থানা+জেলা-কুষ্টিয়া। আসামির পিসিপিআর বা ৬টি মামলা আছে যথা ১. ঝিনাইদহ সদর থানার এফআইআর নং-২৮/১০৩, তারিখ- ১০ মার্চ, ২০২১; জি আর নং-১০৩/২১, তারিখ- ১০ মার্চ, ২০২১; সময়- রাত ০১.৩০ ঘটিকা। ধারা- ৩৭৯/৪১১/৪০১ পেনাল কোড-১৮৬০;
২. কুষ্টিয়া মডেল থানার এফআইআর নং-১৭, তারিখ- ১৭ জুন, ২০১৯; জি আর নং-২৪৭, তারিখ- ১৭ জুন, ২০১৯; সময়- ২২.০৫ ঘটিকা ধারা- ১৯-ধ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন; এই মামলা সে এজাহারে অভিযুক্ত ৩. কুষ্টিয়া মডেল থানার এফআইআর নং-৮, তারিখ – ০৬ জুলাই, ২০১৮; জি আর নং-২৫২, তারিখ- ০৬ জুলাই, ২০১৮; সময়- ০২.১৫ ঘটিকা ধারা- ১৯ (ধ) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন; এই মামলা সে এজাহারে অভিযুক্ত। ৪. কুষ্টিয়া মডেল থানার এফআইআর নং-৯, তারিখ- ০৬ জুলাই, ২০১৮; জি আর নং-২৫৩, তারিখ- ০৬ জুলাই, ২০১৮; সময়- ০২.২৫ ঘটিকা ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড-১৮৬০; এই মামলা সে এজাহারে অভিযুক্ত ৫. কুষ্টিয়া মডেল থানার এফআইআর নং-১৫, তারিখ- ১০ এপ্রিল, ২০১৩; জি আর নং-১৪৬, তারিখ- ১০ এপ্রিল, ২০১৩; সময়- ধারা- ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড-১৮৬০; এই মামলা সে এজাহারে অভিযুক্ত। ৬. কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলা নং-০৪, তারিখঃ ০২/০৯/২০২২ইং, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড।
আটককৃত দ্বিতীয় আসামি মোঃ তৈয়ব (৫২), পিতা-মৃত হারু মন্ডল,সাং-বটতৈল দক্ষিনপাড়া,থানা+জেলা- কুষ্টিয়া। আসামির পিসিপিআর বা মামলা সমূহ ১. কুষ্টিয়া মডেল থানার এফআইআর নং-২০, তারিখ- ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭; জি আর নং-৩৫৮, তারিখ- ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭; সময়- ২০.১০ ঘটিকা ধারা- ১৯(১) এর ৭ (ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ; এই মামলা সে এজাহারে অভিযুক্ত। ২. কুষ্টিয়া মডেল থানার মামলা নং-০৪, তারিখঃ ০২/০৯/২০২২ইং, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড।
পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মোঃ খাইরুল আলম এ সময় বলেন, আসামী শাহীন আলম একজন আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য, তার কাছে মাস্টার কি (Key) থাকে, যা দিয়ে সে যেকোন মোটরসাইকেল স্ট্রার্ট দিতে ও চালু করতে পারে। বর্তমানে সে খন্দকার মটরস, মিরপুর-১৪, (কচুক্ষেত বাজার), ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকায় হেড টেকনিশিয়ান হিসাবে ১৫,০০০ (পনের হাজার) টাকা বেতনে চাকুরী করে। সে খন্দকার মটরস গ্যারেজের মালিকের কাছ থেকে ৪ দিনের ছুটি নিয়ে নিজ বড়িতে এসেই মোটরসাইকেলটি চুরি করে; মূলত চুরি করাই তার পেশা। ইতিপূর্বে সে প্রায় ১১ মাস সরদার মটরস, ৫ রাস্তার মোড়ে মোটরসাইকেলের কাজ করতো। এ চাড়া ২০০৭ সাল হইতে শাহীন অটো হাউজ, নামে তার নিজের দোকান ছিল যার অবস্তান বটতৈল, ভাদালিয়া বাজার।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফরহাদ হোসেন খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা), মোঃ রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), মোঃ নাসির উদ্দিন, ওসি ডিবি, মোঃ আনিসুর রহমান, ইনচার্জ, CCIU, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, অফিসার ইনচার্জ, কুষ্টিয়া মডেল থানা, মোঃ ফয়সাল হোসেন, ডিআইও ১, মোঃ শহীদুজ্জামান, আরওআই, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের সদস্য বৃন্দ এবং ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *