আজ শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী

অনলাইন ডেস্ক :

 

দুর্গাপূজার আজ মহা অষ্টমী। দিনটিতে পূজামণ্ডপগুলোতে দর্শনার্থী-পুণ্যার্থীর ভিড় বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর মহা অষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা আয়োজন করা হয়নি। তবে, এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় উদযাপন করা হচ্ছে কুমারী পূজা।

দেবীদুর্গাকে সম্মান জানাতেই অষ্টমীতে আয়োজন করা হয় কুমারী পূজার। কুমারী পূজার ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতার সূত্রপাত হয়।

 

ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শনিবার (১ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রোববার (২ অক্টোবর) মহাসপ্তমীর সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে শেষ হয় দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ। এরপর দেবীর সপ্তমী বিহিত পূজা শেষে আয়োজন করা হয় পুষ্পাঞ্জলি ও ভোগ আরতি।

 

পুরাণমতে, দুর্গাদেবী কুমারী রূপেই আবির্ভূত হয়েছিলেন দেবতাদের সামনে। সেই রীতি বহন করেই মহাষ্টমীর সকালে কুমারী পূজার আয়োজন। মহাষ্টমীর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কুমারী পূজা। যেখানে একজন কুমারীকে মহাষ্টমীর দিন ভোরে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরানো হয়। তাকে সাজিয়ে কপালে সিঁদুর, পায়ে আলতা ও হাতে ফুল দেওয়া হয়। এরপর সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে (ষোলো উপাদান) দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। এ সময় চারদিকে শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বোল, উলুধ্বনি আর দেবী স্তুতিতে মুখর হয়ে ওঠে। ১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার সূত্রপাত হয়।

 

অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর মহাষ্টমীর অন্যতম আকর্ষণ কুমারী পূজা আয়োজন করা হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় এবার কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কুমারী পূজার আয়োজন না হলেও রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *