প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী লক্ষ্মীপুরে

নিউজ ডেস্ক:

 

মালয়েশিয়ায় চাকরির সুবাদে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী সিতি রাহাইউ ও বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর রায়পুরের যুবক মামুন হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পাঁচ বছর সম্পর্কের পর ছুটিতে লক্ষ্মীপুরে এসে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সুখের সংসার গড়ে তুলে সারাজীবন একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।  

 

রবিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তার মাধ্যমেই এফিডেভিট ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। এ নিয়ে ৭ মাসের মাথায় ইন্দোনেশিয়ার দুই তরুণী রায়পুরে এসেছেন।

 

এর আগে গত ৮ মার্চ প্রেমের টানে একই উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদের কাছে ছুটে আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া। পরে তারা লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী মারুফ বিন জাকারিয়ার মাধ্যমে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন। ফানিয়া এখন বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। রাসেলের ব্যবসার সুবাদে তারা ঢাকায় আছেন। সেখানে তারা সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন। রবিবার রাতে রাসেল নিজেই প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গেছে, শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে মালয়েশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মামুন ও সিতি। পরে মামুন তাকে রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামে সাজী বাড়িতে নিয়ে আসেন। আজ রবিবার লক্ষ্মীপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে তারা এটি প্রচারে আগ্রহী নয়।

 

সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ে বাসিন্দা মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পতির মেয়ে। মামুন হোসেন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ও সেতারা বেগমের ছেলে। তারা মালয়েশিয়ার রাজধানীতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

 

মামুনের বরাত দিয়ে আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী জানায়, ২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়ায় সিতির সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে বিয়ের জন্য সুদূর মালয়েশিয়া থেকে তারা দুইজনে এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ছুটি শেষে তারা মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন। তবে সিতি বাংলাদেশে থাকার জন্য আগ্রহী।

 

মামুনের বাবা রফিক উল্লাহ জানান, মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সিতির সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। বাড়িতে এসে প্রথম দিনই খুব সহজে সবার সাথে সিতির ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আপনজনের মতো সবাইকে গ্রহণ করেছে। মানুষজন জানতে পেরে সিতিকে দেখতে সবাই বাড়িতে এসে ভিড় জমাচ্ছে।

 

আদালত প্রাঙ্গণে সিতি রাহাইউ সাংবাদিকদের জানান, ‘মামুনকে তিনি অনেক বেশি ভালবাসেন। সে ভালবাসা থেকেই তারা বিয়ে করেছেন। মামুনের পরিবারের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ। ‘

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *