কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় আনিচুর নিজে মার খেয়ে, থানায় অভিযোগ করে বিপাকে

(কুষ্টিয়া প্রতিনিধি) :-
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া গোঁ হাট এলাকার বাসিন্দা আনিচুর রহমান পিতা: ফতে আলী ।
গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের দিন ধরমপুর ইউনিয়ন বোর্ড অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে এক দোকানে সিগারেট কিনতে দাড়ায় আনিচুর পাশে বসা ছিল (৩) নং আসামী রইস এর ছেলে কুদ্দুস। পূর্ব পরিচিতের কারনে বাদী আনিচুর বলে জামাই সব সময় যে দোকানে থাকেই ,এই কথার পেক্ষীতে কুদ্দুস তাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং মারধোড় করতে থাকে কিছুক্ষনের মধ্যে আসামী (১) হবি ,আসামী (২) হাবিল পিতা :মৃত আসফাত প্রমানিক ,কিছু লোকজন ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারতে আসে আনিচুরকে। অবস্থা খারাপ দেখে বাদী আনিচুর দৌড়ে পালিয়ে যায় ও থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। আনিচুর থানা থেকে ইজি বাইকে নিজ বাড়ির সামনে রাত ১১:৩০ মিনিটে পৌছালে ওত পেতে থাকা তিন জন আসামী সহ আরো বেশ কিছু মাদক সেবী সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ,হাতুড়ী, লাঠি দিয়ে বাদী আনিচুরকে আহত করে। আনিচুর চিৎকার করে আমাকে মেরে ফেলল বাঁচাও,বাঁচাও তখন স্থানীয় মানুষ এবং তার পরিবারের লোক জন তাকে ঘটনা স্থল থেকে বাচাই ও তার মাথা ফাটা অবস্থায় হাসপাতাল ভর্তি করে । গত শুক্রবার ২৩ শে আগষ্ট বাদী আনিচুর থানায় অভিযোগের অবস্থা জানতে গেলে আসামী পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে আনিচুরকে আটক করে ভেড়ামারা থানার ওসি মোল্লা মো:খবির আহমেদ এর নির্দেশে এস,আই ইয়াকুব আলী। পরবর্তীতে ৩৪ধারায় আনিচুরকে কোর্টে চালান করা হয় । গত কাল কোর্ট থেকে মুক্তির পর আনিচুর পালিয়ে বেড়াচ্ছে আসামীদের অত্যাচারে ।

ধরমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাবুল আলম লালু তিনি বলেন ,আনিচুর সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি মারামারি করার মত আচরন তার মধ্যে আমরা কোনা দিন পায়নি । তবে আনিচুর মার খেল ,সেই জেল খাটলো এটা কেমন হয় আবার জেল থেকে বের হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে । যায় হোক আমি জন প্রতিনিধি হিসাবে চায় দুই পক্ষের এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক এবং সমাধানের জন্য আমার কিছু করনীয় থাকলে আমি তা করতে প্রস্তুত আছি ।

এদিকে আনিচুর এর করা অভিযোগটি রয়েছে এস,আই ইয়াকুব আলীর কাছে । এস,আই ইয়াকুব আলী এ বিষয়ে বলেন , ওসি স্যারের নির্দেশে তাকে আটক করি। তিনি আরো বলেন ,আমি ১৫ই আগষ্টে দুই পক্ষের অভিযোগ পর্যায়ক্রমে গ্রহন করি পরে আনিচুরের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধরমপুর ইউনিয়নে সাতবাড়ীয়া যায় তখন যানতে পারি যে আনিচুর আহত অবস্থায় হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছে ।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, আনিচুর একজন নিরিহ চাষি মানুষ, তাকে মারার জন্য কুদ্দুস, হবি, হাবিলের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল । আর এলাকা বাসী অভিযোগ করেন,হবি,হাবিল দুই ভাই গরু মহিষের ব্যবসা করে তারা বিভিন্ন অসহায় গরীবের গরু মহিষ জোড় করে বাজার মূল্য থেকে কম দামে ক্রয় করে ও টাকা বাকি রাখে। গরীব অসহায় লোকেরা যখন পাওনা টাকা চাই তখন বিভিন্ন ভয় ভীতি ও মারধোড় করে তাদের তারিয়ে দেয়। কেউ প্রতিবাদ করলে ভেড়ামারার প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গীয়ে হুমকী দেয়।

আনিচুরের পরিবারের ও এলাকা বাসীর প্রশাসনের কাছে দাবী আনিচুর রহমান ও তার ভাই শরিফুল ইসলাম পাশার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে তাদের নিজ বাড়িতে বসবাসের সুযোগ করে দিন এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের দিনে আনিচুরের উপর হামলা সংগঠিত কারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *