অনলাইন ডেস্ক : চোরাচালান প্রতিরোধে স্বর্ণের আমদানি শুল্ক কমাতে পারে ভারত।
দেশটির সরকার ও শিল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী শুরুর পর ভারতে আশঙ্কাজনক হারে স্বর্ণ চোরাচালান বেড়েছে। দেশটিতে এসব স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে। ফলে ব্যাংক ও স্বর্ণ পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে দেশটির সরকার স্বর্ণের আমদানি শুল্ক হ্রাস করতে পারে।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ। আমদানি শুল্ক কমালে দেশটির খুচরা বাজারে মূল্যবান ধাতুটির বিক্রি লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়তে পারে। কারণ শুল্ক হ্রাস পেলে ধাতুটির দামও কমবে।
স্বর্ণ কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যে ভারতের অনেক স্বর্ণ পরিশোধন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দুই বছর ধরে স্থবির। আমদানি শুল্ক কমলে এসব প্রতিষ্ঠান আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
শুল্ক হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, উচ্চ-আমদানি শুল্কের কারণে বাজারে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা সম্পর্কে সরকার অবগত আছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
স্বর্ণ কালোবাজারিরা শুল্ককর এড়াতে বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধভাবে ধাতুটি আমদানি করে। এক্ষেত্রে নগদে অর্থে মূল্য পরিশোধ করা হয়। গত বছরের জুলাইয়ে ভারত সরকার স্বর্ণের আমদানি শুল্ক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। উদ্দেশ্য বাণিজ্য ঘাটতি রোধের মাধ্যমে মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিন্তু শুল্ক বাড়ানোর ফলে স্বর্ণ চোরাচালানের পরিমাণ আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। সূত্র: রয়টার্স