নতুন লুকে প্রশংসায় ভাসছেন চঞ্চল চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক :

 

চঞ্চল চৌধুরী যেন এক নির্মাতা, যিনি ধ্বংস্তুপে গড়ে তুলতে পারেন নতুন সাম্রাজ্য। চঞ্চল চৌধুরীই পারেন তৈরি করতে বিস্ময়। 

 

অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি ফেসবুকে লিখলেন, ‘তুই আর কি কি অনবদ্য অভিনয়ে/ গেট-আপে চমকে দিবি, সেই ভয়ে ভীত থাকি বন্ধু⁉️ তুই আমাদের অভিনয় জগতের এক অন্য অহংকার,অন্য ভালোবাসা! অপেক্ষায় আলোড়িত হচ্ছি রোজ, কবে দেখবো তোর এবারের চমক! তোর অবিরাম সাফল্য কামনা করি।’

 

ছবির নাম ‘পদাতিক’। মৃণাল সেনের জীবনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ছবিটি বানাচ্ছেন সৃজিত মুখার্জি। গত ১৩ জানুয়ারি ছবিতে চঞ্চলকে কী রূপে দেখা যাবে, তার কয়েকটা প্রকাশ করা হয়।

 

এক মাস পর আবারও সামনে আরও কিছু ছবি প্রকাশ হলো। এই ছবিগুলোয় চঞ্চলকেকে দেখে চেনার উপায় নেই, চঞ্চল নাকি মৃণাল! এমন দ্বিধা-দোটানায় পড়ছেন ভক্ত, সহকর্মীরা। আর সবার মনের ভেতর কোথাও যেন বয়ে যাচ্ছে গৌরবময় অনভূতির বাতাস।

 

মৃণাল রূপে চঞ্চলের চারটি ছবি পোস্ট করেছেন তার বন্ধু অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। একটিতে বৃদ্ধ মৃণালের সাজে সেলফি তুলছেন, দুটিতে সিগারেট ফুঁকছেন, আরেকটিতে ভাবুক চাহনিতে দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তায়।

 

ছবিগুলোর সঙ্গে খুশির মুগ্ধতা ভরা বার্তা, ‘তুই আর কী কী অনবদ্য অভিনয়ে, গেটআপে চমকে দিবি, সেই ভয়ে ভীত থাকি বন্ধু! তুই আমাদের অভিনয় জগতের এক অন্য অহংকার, অন্য ভালোবাসা। অপেক্ষায় আলোড়িত হচ্ছি রোজ, কবে দেখবো তোর এবারের চমক! তোর অবিরাম সাফল্য কামনা করি।’

 

শুধু শাহনাজ খুশি নয়, সাধারণ দর্শক চঞ্চলের ছবিগুলো পোস্ট করছেন আর প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। চঞ্চল নাকি মৃণাল; এই দ্বিধায় যখন তারা ডুবে আছেন, তখন শুটিংয়ে ব্যস্ত চঞ্চল। এই মুহূর্তে কলকাতায় অবস্থান করছেন অভিনেতা। কলকাতার বেচু চ্যাটার্জি স্ট্রিটে চলছে ‘পদাতিক’র শুটিং। তার হালচাল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে।

 

তাতে বলা হয়েছে, একেকটি দৃশ্যের জন্য সাত-আটটি টেক নিচ্ছেন সৃজিত। আর বিন্দুমাত্র ক্লান্তি বা বিরক্তি না দেখিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যেই শট দিয়ে যাচ্ছেন চঞ্চল। শুটিং দেখতে ভিড় জমানো লোকজনের অনেকেই তাকে চিনে নিচ্ছে, যারা চিনছেন না, তারাও তার অভিনয়শক্তি দেখে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে।

 

‘পদাতিক’ নিয়ে শুটিংয়ের ফাঁকে সৃজিত মুখার্জি বলেন, ‘এই ছবিটা আসলে একদমই ভালোবাসার জায়গা থেকে বানানো। কোনও রকম স্ট্র্যাটেজি বা টাকা কামানোর লক্ষ্য থেকে নয়। মৃণাল সেন আসলে কলকাতা শহরটাকে ভীষণ ভালোবাসতেন। এলডোরাডো বলতেন। সেই এলডোরাডো আজ মৃণাল সেনকে ভুলে গেছে। কোনও রাস্তার নাম, পার্কের নাম, মেট্রো স্টেশনের নাম, কোথাও তিনি নেই। তাই কলকাতাকে মনে করিয়ে দেওয়া এই ট্রিবিউটের মাধ্যমে।’

 

অন্যদিকে নির্মাতা সৃজিত প্রসঙ্গে চঞ্চলের মন্তব্য, ‘তার অনেক ছবি আগেই দেখেছিলাম। তাই জানতাম কী ধরনের সিনেমা তিনি বানান। এখন কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম, পরিচালক হিসাবে তার ভাবনাটা কতটা পরিষ্কার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *