রাজবাড়ীতে গরম ও লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বেড়েছে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি :

 

তীব্র দাবদাহের সঙ্গে রাজবাড়ীতে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন শিশু, প্রবীণ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখা পাড়াতেও ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

 

এদিকে লোডশেডিং নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রাগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাজবাড়ী পৌর শহরের শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার বলেন, গরমে ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে আবার বিদুৎ থাকছে না। আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত পাড়ালেখা হচ্ছে না।

 

শহরের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা সোহাগ মিয়া বলেন, ‘দিনে তো বিদ্যুৎ যাচ্ছেই রাতেও একই অবস্থা। ইফতার ও সেহেরিতেও বিদুৎ থাকছে না। এরই সঙ্গে রয়েছে তীব্র গরম। সবকিছু মিলে চরম ভোগান্তিতে আছি আমরা।’

 

শহরের নতুন বাজার এলাকার ফটোকপি ব্যবসায়ী সরল মাহমুদ বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ছে। লোডশেডিংও শুরু হয়েছে। আমরা ফটোকপি ও কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। লোডশেডিংয়ের কারণে এখন কাজ করতে পারছি না। আমাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র শীল চন্দন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রাজবাড়ীতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠা নামা করছে। প্রচণ্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। সেই সঙ্গে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। ঘন ঘন  লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের  কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। বিদুৎ বিভাগের কাছে আশা করবো তারা যেন লোডশেডিং কমিয়ে রাজবাড়ী বাসির জন্য একটু  স্বস্তির ব্যবস্থা করেন।

 

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ বলেন, এই অঞ্চলের বিদুৎ আসে রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র থেকে। গত কয়েকদিন আগে লাইন ফল্ট করার করাণে চাহিদা অনুযায়ী বিদুৎ পাচ্ছি না আমরা। এই জেলার চাহিদা ৭০ মেগাওয়ার্ড হলেও বর্তমানে পাচ্ছি ৫০ মেগাওয়ার্ড। ঘাটতি ২০ মেগাওয়ার্ড থাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *