অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীতে সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছিল ২ এপ্রিল। শুক্রবার ১৯ দিন পর রাজধানীবাসী দেখা পেলেন বৃষ্টির। এ বৃষ্টি বহু কাঙ্ক্ষিত। কারণ, এর মধ্যে প্রচণ্ড তাপে পুড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। তাই বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো ছিলেন রাজধানীবাসী। শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। এর সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। রাজধানীর শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, ফার্মগেট, আগারগাঁও, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। তবে এর পরিমাণ ছিল সামান্য।
গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে—৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়—৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি কমে গেছে। তাপমাত্রা কমছে রাজধানীতেও। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তা কমে হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, তাপমাত্রা কমছে। এ প্রবণতা শুরু হয়েছে, এটি অন্তত তিন দিন থাকবে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশালে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তবে রংপুর, খুলনা ও রাজশাহীতে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত কম হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে নেত্রকোনায় সর্বোচ্চ ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আর কক্সবাজারে ১৫ মিলিমিটার এবং সিলেটে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।