কুমিল্লার লাকসামে মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষক গ্রেপ্তার
Sozib Nandi
নিউজ ডেস্ক :
কুমিল্লার লাকসামে একটি মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদরাসার শিক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই শিক্ষকের নাম মো. শরীফুর রহমান খোন্দকার (৫৮)। তিনি উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম মদিনাতুল উলূম জামিয়া ও নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং শিক্ষক। তিনি একই গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লাকসাম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাকসুদুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লাকসাম থানায় দায়েরকৃত মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। সে একই গ্রামে অবস্থিত মদিনাতুল উলূম জামিয়া ও নূরানী হাফিজয়া মাদরাসায় হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
তার বয়স অনুমান ১৪ বছর।গত ২২ জুলাই বিকেলে শিক্ষক শরীফুর রহমান খোন্দকার ওই শিক্ষার্থীকে মাদরাসা থেকে এনে লাকসাম পৌর শহরের বাইপাস এলাকায় অবস্থিত খন্দকার মার্কেটর ৪র্থ তলায় একটি রুমে আটকিয়ে বলাৎকার করেন। একই কায়দায় গত ২৬ জুলাই মাদরাসা থেকে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে মোটরসাইকেলে করে একই স্থানে পুনরায় এনে বলাৎকার করে ওই শিক্ষক। এ ঘটনার পর দিন (২৭ জুলাই) ওই শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে পালিয়ে নিজ বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরিবারের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে।
পরে শিশুটির পরিবার অসুস্থ অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বলৎকারের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা নূর মোহাম্মদ সোমবার (৩১ জুলাই) রাতে লাকসাম থানায় এসে শিক্ষক শরীফুর রহমান খন্দকারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে লাকসাম থানা পুলিশ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে অভিযুক্ত শিক্ষক শরীফুর রহমান খোন্দকারকে গ্রেপ্তার করেন।
এই ব্যাপারে লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মাহফুজ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।