Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

অনলাইনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন তারা

যশোর প্রতিনিধি :

 

যশোরে ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশী ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের নীলগঞ্জ এলাকার ওই ভুয়া কোম্পানির অফিস থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হাতিয়ে নেওয়া নগদ টাকাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

 

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানায় র‌্যাব-৬।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রতারক চক্রের মূলহোতা ও দেশ সেফটি ফোর্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের ভুয়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রাশেদুল হাসান (৪৬)। তিনি যশোর শহরের সিটি কলেজ পাড়ার হাজী আবদুল হামিদের ছেলে। অন্য দুই জন হলেন- ঝিকরগাছার ফতেপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩৫) এবং একই উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৩)।

র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব জানান, গত ১০ অক্টোবর যশোরের বাঘারপাড়ার বাসিন্দা জনৈক্য বায়েজিদ বোস্তামী নামের এক ব্যক্তি  র‌্যাব-৬ যশোর বরাবর একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। গতকাল সরজমিনে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে সব অভিযোগের সত্যতা মেলে। ভুয়া কোম্পানিটির পরিচালকরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সেসময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি এবং তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া কোম্পানি খুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে স্বীকার করেন।

 

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আরও জানায়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রকল্পে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেকার ছেলে-মেয়েদের প্রলোভন দেখাতে অনলাইনের মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতেন আসামিরা। হাজার হাজার বেকার ছেলে-মেয়েরা আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। আসামিরা চাকরি প্রত্যাশী ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন।

কোম্পানি কমান্ডার আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত এই প্রতারক চক্র আগে ঢাকার মধ্য বাড্ডা লিংক রোডে ইউনিক ফোর্স নামে একটি ভুয়া কোম্পানি খুলে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ইউনিক ফোর্স প্রতিষ্ঠানে রাশেদুল হাসান ছিলেন কথিত ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, আশরাফুল ও শরিফুল ইসলাম ছিলেন অ্যাডমিন অফিসার। ইউনিক ফোর্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা জানাজানি ও র‌্যাব-১  অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতারক চক্রটি  যশোরে দেশ সেফটি ফোর্স প্রাইভেট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান খুলে তাদের প্রতারণার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিল।

 

তিনি আরও জানান, অভিযোগকারী কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। প্রতারণার মামলায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের আলামতসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Exit mobile version