পুলিশ সুপার আজাদ খান এর কাহিনী অবলম্বনে মানব পাচারকে কেন্দ্র করে দেশের প্রথম মানবিক সিনেমা “শান”

বিনোদন ডেস্ক : পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম (বার) এর কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে মানব পাচারকে কেন্দ্র করে দেশের প্রথম মানবিক সিনেমা “শান” । পুরোপুরি অ্যাকশন-থ্রিলার, ‘রোমান্টিক ধাঁচের ছবি ‘শান’ পরিচালনা করছেন এম রাহিম। ‘শান’-এ সিয়াম-পূজা ছাড়াও অভিনয় করছেন তাসকিন রহমান। এছাড়া অভিনয়ে আছেন হাসান ইমাম, সাবেক ডিআইজি নুরুজ্জামন, মিশা শওদাগর, অরুনা বিশ্বাস চম্পা। ছবির বেশিরভাগ শুটিং শেষ। অ্যাকশন-থ্রিলার এই সিনেমায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মার্শাল আর্ট ” ক্রাভ মাগা” যুক্ত হয়েছে। ক্রাভ মাগা মার্শাল আর্টকে অনেকেই বিশ্বের ভয়ঙ্করতম মার্শাল আর্ট বলে থাকেন। এটি ইসরায়েল এর প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিশিয়াল মার্শাল আর্ট। খালি হাতে তো বটেই, ক্রাভ মাগাতে বিভিন্ন অস্ত্রের বিরুদ্ধেও ডিফেন্স শিখানো হয়। দাবি করা হয় মাত্র তিন সেকেন্ডে যে কাউকে কাবু করা যায় ক্রাভ মাগা এর মাধ্যমে ।

এ ছবিটি প্রযোজনা করছে কুইক মাল্টিমিডিয়া।

দালালদের খপ্পরে পড়ে সীমান্ত,পাহাড়,নদী, সাগর, মরুভুমি পার হয়ে মৃত্যু ঝুকি নিয়ে কিভাবে বিদেশে পাঠানো হয় এদেশের মানুষকে। মৃত্যু ঝুকি নিয়ে সোনার হরিণের স্বপ্ন দেখে দেশ ছাড়া এ মানুষগুলো শেষমেষ বুঝতে পারে যে তারা মানব পাচারের স্বীকার হয়েছেন সিনেমায় সেটি তুলে ধরা হয়েছে। মানব পাচার চক্র এসব হতভাগা মানুষগুলোকে পরবর্তীতে জকি, যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দেয়। এমনকি তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দেয়। দেশের প্রথম মানবিক এ সিনেমায় কাহিনীকার জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বাস্তব এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিবাসন বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভায় বিদেশে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারের নানা ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও মানুষ অসচেতনার কারণে দালালের খপ্পরে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, আমি একটা জিনিস দেখি, কিছু কিছু দালাল শ্রেণির লোক থাকে, যারা গ্রামগঞ্জে ঘুরে মানুষকে বড় বড় স্বপ্ন দেখায়। সোনার হরিণের স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাইরে (বিদেশ) পাঠায়। তারা শুধু বাইরেই পাঠিয়ে দিচ্ছে। এরপর কে কোথায় গেছে, সেই খবর কেউ জানে না।’মানুষ জমিজমা বিক্রি করে, সবকিছু বন্ধক রেখে দালালকে টাকা দিয়ে বাইরে যায়। কিন্তু যাওয়ার পর সেখানে তাদের কোনো খবর থাকে না। অনেক সময় তাদের কোনো কাজের ঠিকানাও থাকে না। তখন আবার তাদের আত্মীয়-স্বজনকে চাপ দেয় এবং তাদের কাছ থেকে আবারও টাকা নেয়। এ ধরনের অনিয়ম সারাদেশে আছে। আবার অনেক দেশে আমাদের মেয়েরা যায়। কিন্তু তারা কোন ধরনের কাজ করতে পারবে -সেসব তথ্য নেয়া হয় না। কী ধরনের কাজ করতে পারবে বা করবে -এর জন্য ট্রেনিংও দেয়া হয় না। ফলে যে নারীরা যাচ্ছে তারা কোনো কাজ করতে পারে না এবং সেখানে অত্যাচারেরও শিকার হয়।

তিনি বলেন, এসব সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই দালালের খপ্পরে পড়ে। ফলে বাইরে গিয়ে তারা বিপদে পড়ে। মানুষ যাতে ধোঁকাবাজিতে না পড়ে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। এভাবে কোথাও কেউ যেন অকালে হারিয়ে না যায়। আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা, তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদেরই।


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু কিছু দালাল শ্রেণির লোক সোনার হরিণের স্বপ্ন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মানুষকে দেশের বাইরে পাঠায়। মানুষ যাতে ওদের মুখরোচক কথার ধোঁকাবাজিতে না পড়ে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। এভাবে কোথায়ও গিয়ে কেউ যেন অকালে হারিয়ে না যায়।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম (বার) ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পান। তিনি ২ বার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম (বার) পেয়েছেন। অত্যন্ত কোমল স্বভাবের ভালো মনের মানুষ হিসেবেই তিনি সর্বমহলে পরিচিত ও প্রশংসিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *