দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর শুরু হওয়া হামলা ও হুমকি এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই দাবি করে নির্বাচন-পরবর্তীকালের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে এরই মধ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার জন্যে দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানানো হয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ৬ জানুয়ারিসহ নির্বাচন-পরবর্তী দিনগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, তাদের বাসাবাড়ি ভাঙচুর, হুমকিসহ বিভিন্ন নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে লুটপাট, অপহরণ, ছুরিকাঘাতসহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর অভিযোগও জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন-পরবর্তীকালের সহিংসতায় ঝিনাইদহ সদরের হামদহ ঘোষপাড়ায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য বরুণ কুমার ঘোষকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ বিশ্বাস সাধন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহত বরুণের বাড়ি যান এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এ সময় ঝিনাইদহ জেলার ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কনক কান্তি দাস এবং মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর নেতারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়ে খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত জিআইজি মো. হাসানুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. আজিম-উল-আহসানের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করেন অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার।