অনলাইন ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘প্রথমে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করবে না তার দেশ।’ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্তের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে, তারমধ্যেই এই মন্তব্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর।
পাকিস্তানের লাহোরে শিখ সম্প্রদায়ের একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পারমাণবিক শক্তিতে বলীয়ান। যদি এই উত্তেজনা বাড়ে, বিশ্বের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। আমাদের মধ্যে উত্তেজনা ছাড়ালেও পাকিস্তান কখনো আগে পারমানিক শক্তি প্রয়োগ করবে না। ‘নো ফার্স্ট ইউজ’ নীতি তার সাফ কথা, বিশ্ব বিপদে পড়তে পারে, এমন কোনো কাজ পাকিস্তান করবে না।এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘প্রথমে ব্যবহার নয়’ এই নীতি বদলের অধিকার আটকে রেখেছে ভারত, কয়েকদশক ধরেই ভারতের পরমাণু নীতির কোণঠাসা নীতি এটা। তিনি বলেন, সরকার কঠোরভাবে, প্রথমে ব্যবহার না করার নীতিতে রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
আগস্টের প্রথমে কাশ্মীর নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের পর, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি ঘটায় পাকিস্তান এবং ভারতের রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করে। পাশাপাশি বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হয় তারা। একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর, নিরাপত্তা পরিষদের বেশীরভাগ সদস্যই ভারতের অবস্থানের সঙ্গে সহমত হয় যে, কাশ্মীর সমস্যা, ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।
জাতিসংঘের এমন অবস্থানের পর ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চের দ্বারস্থ হবেন তিনি। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় পাকিস্তান। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসে এক নিবন্ধে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লিখেন, ভারতের পদক্ষেপ কাশ্মীর ও সেখানকার মানুষের প্রতি অপমান। তিনি আরও দাবি করেন, বিষয়টিতে আন্তর্জাতিক মহল হস্তক্ষেপ না করলে, দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের সামরিক উত্তেজনা আসন্ন। সূত্র : এনডিটিভি