কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় স্কুল ছাত্র হত্যা অভিযোগে ভেড়ামারা থানায় করা মামলায় দুই যুবকের মৃত্যুদন্ডসহ অপর তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেকের ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে একজন আসামী রনির উপস্থিতি ও ৪জন পলাতকদের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষনা করেন।
মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রনি(২৮) এবং মিরপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম(পলাতক)। যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতকরা হলেন- সদর উপজেলার চৌড়হাস গ্রামের ইসলাম হোসেনের ছেলে রাব্বি, খলিল ওরফে নেংড়া খলিলের ছেলে রফিক ও কুমারগাড়া গ্রামের আ: আজিজ’র ছেলে সুজা।
আদালত সূত্রে জানায়, ২০১২ সালের ০৯ অক্টোবর সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া টিটিসির নবম শ্রেনীর ছাত্র সোহাগ মরট সাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ১১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন মাঠ থেকে সোহাগের মৃতদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহত সোহাগের প্রবাসী পিতার অবর্তমানে খালু সদর উপজেলার চৌড়হাস গ্রামের শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি নানা কারণে তদন্তে বিলম্ব হয়। অবশেষে সিআইডি মামটির তদন্ত শেষে ৫জন আসামীর বিরুদ্ধে দ:বি: ৩০২/৩৪ অভিযোগ এনে ২০১৪ সালের ৯ডিসেম্বর আদালতে চার্যশীট দাখিল করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারী কৌশুলী এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, স্কুল ছাত্র হত্যা মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন ও দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় পলাতক আসামী নাজমুল ইসলাম ও আদালতে উপস্থিত রনির মৃত্যুদন্ড এবং অপর তিনজনের যাবজ্জীন কারাদন্ডসহ ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলটির বিবাদী পক্ষের কৌশুলী এ্যাড. রাজিব আহসান রঞ্জু, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও আব্দুল মোতালেব।