Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

কুষ্টিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার অঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রীর কারাদণ্ড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

 

কুষ্টিয়ার চৌড়হাসে ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রী খালেদা পারভিন (৩৫) কে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

পৃথক দুটি ধারায় ৫ বছর ও ৪ বছর এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালতের বিচারক।

 

১৮ মার্চ, সোমবার বিকেল ৩ টায় কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কেরামত আলী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় মামলার একমাত্র আসামী খালেদা পারভিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দন্ডপ্রাাপ্ত খালেদা পারভিন যশোর জেলা কতোয়ালী মডেল থানার চুরামনকাঠি এলাকার হাফিজ উল্লাহ্র মেয়ে এবং সোনালী ব্যাংক কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর শাখার কর্মকর্তা আরিফুল হকের স্ত্রী।

 

মামলার এজাহার এবং আদালত সুত্রে জানাযায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার চৌড়হাস আদর্শপাড়ার বাসায় স্বামী আরিফুল হককে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে তার হাত পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিখণ্ডিত করে খণ্ডিত পুরুষাঙ্গ নিয়ে পালিয়ে যায়।

 

পরে আরিফুল হকের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগী ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাবি বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জহুরুল ইসলাম তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর অভিযুক্ত ওই নারীর বিরুদ্ধেআদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।

Exit mobile version