যশোর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে তানজিলা খাতুন (২৫) নামে এক কন্যা সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাড়ালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তানজিলা ওই গ্রামের আতাউর রহমান সোহেলের স্ত্রী। তানজিলার শশুর রেজাউল গাজী জানান, সে কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম সরদারের মেয়ে। প্রায় ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরে সে অসুস্থ। একমাস আগে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়ে পাড়ালায় ফিরেছে তানজিলা। বুধবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের বারান্দায় চালার সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। বেলা ১১টার দিকে সোহেল কাজ থেকে ফিরে তানজিলাকে ঝুলতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে মণিরামপুর হাসপাতালে আনে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তানজিলার।
প্রতিবেশীরা জানান, ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় সোহেল নিজেই মাঠের কাজের সাথে বাড়ির রান্নাবান্নার কাজ করতেন। মঙ্গলবার ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে সোহেল রান্নার কাজ সারেন। এরপর স্ত্রীকে সাথে নিয়ে খাবার খেয়ে মাঠে কাজে যান। স্ত্রী বেঁচে থাকতে স্বামী এত কষ্ট করবে, সেটা মনে হয় সইতে পারেনি তানজিলা। সেই কষ্টে হয়ত সে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন সুমাইয়া বলেন,হাসপাতালে আনার আগেই তানজিলার মৃত্যু হয়েছে।মণিরামপুর থানার এসআই জহির রায়হান বলেন, শারিরীক অসুস্থতার জন্য তানজিলা আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজনরা দাবি করছেন। মর্গে পাঠানোর উদ্দেশে মরদেহ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।