ন্যাশনাল ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৪টি প্রতিশ্রতি নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তারা যেসব প্রতিশ্রুতি পালন করবে তার একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে এ ইশতেহার ঘোষণা শুরু হয়।
লিখিত ইশতেহার পাঠের আগে বক্তব্য দিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।
ক্তৃতায় তিনি বলেন, জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনে জয়ী হলে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়া হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ চলমান রাখা, জাতীয় ঐক্য গড়া, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধান, নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা ও একটানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না ইত্যাদি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা থাকবে না।
ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে। এই সরকারের আমলের দুর্নীতি তদন্ত করে তার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ ও ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।
ইশতেহার তৈরির জন্য ঐক্যফ্রন্ট ৬ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটিতে বিএনপি থেকে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, গণফোরাম থেকে আ ও ম শফিক উল্লাহ, নাগরিক ঐক্য থেকে ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডি থেকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাখা হয়।