সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: বন মন্ত্রণালয়

অনলাইন ডেস্ক :

 

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের বনাঞ্চলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। আগুন গাছের উপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির উপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ওই এলাকায় কয়েক দিন ধরে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

 

৫ মে, রবিবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা বলা হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা প্রদান করছেন। এছাড়া বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে উপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে।

 

শনিবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ৩টায় আগুন লাগার ঘটনা প্রথম উদঘাটিত হয়। আগুন লাগার ঘটনা জানার সাথে সাথে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আগুন লাগার চারপাশে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু উক্ত সময় ভাটার কারণে খালে কোনো পানি না থাকায়, আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট ও পানি দেওয়ার মেশিনে এনে রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ রবিবার ভোর থেকেই বন বিভাগের কর্মীরা, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনগণ, সিপিজি, সিএমসির লোকদের নিয়ে আগুন লাগার স্থানে চারদিকে ফায়ার লাইন কাটার পাশাপাশি পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ পুরোদমে শুরু করেন। আগুন লাগার স্থানের চারদিকে প্রায় পাঁচ একর জায়গাজুড়ে ফায়ার লাইন কেটে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে যেহেতু আগুন মাটির নীচ দিয়ে গাছের শিকড়ের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃতি লাভ করছে, কাজেই সতর্কতার সাথে আগুন নেভাতে হচ্ছে।

 

মন্ত্রণালয় জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন এখানে অগ্নিনির্বাপণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কেননা ফরেস্ট ফায়ার আপাতত নিভে গেছে বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মনে হলেও আবার যেকোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে।

 

আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয়ে তদন্তের জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ সুন্দরবনের আগুন নির্বাপণ কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত আছেন এবং তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। এ কর্মকাণ্ড সরেজমিনে তদারকি করতে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *