দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা ভোট শেষ, চলছে গণনা

অনলাইন ডেস্ক :

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের ১৫৬টি উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই সম্পন্ন হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে।

 

দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলাগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোট হয়। নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা ও যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

 

গত ২ এপ্রিল দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে মঙ্গলবার ভোট হয় ১৫৬টিতে। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি। বান্দরবানের রুমা ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বরিশালের বাবুগঞ্জ, উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলার ভোট এ ধাপে থাকলেও তা পিছিয়ে চতুর্থ ধাপে নেওয়া হয়েছে।

 

এ ধাপে ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান এবং সমানসংখ্যক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।

 

এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনও দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাত্র চারটি দল প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। দলগুলো হলো জাতীয় পার্টি (এরশাদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এবং জাতীয় পার্টি (জেপি)। এ চারটি দল চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান  ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এ নির্বাচন বয়কট করেছে। তবে বেশকিছু উপজেলায় বিএনপি সমর্থিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

 

এবার চার ধাপে উপজেলা নির্বাচন করছে ইসি। গত ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট পড়ে। এই হার ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ ও গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *