কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, আমাদের জীবনে চলার পথে অনেক দুর্যোগ আসে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানুষের সৃষ্ট দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করেই চলতে হয়। অনেক সময় নিজেরাই মোকাবিলা করতে পারি, অনেক সময় পারি না, সেসময় রাষ্ট্র সহায়তা করে। এই যে দুর্যোগে মানুষকে সহযোগিতা করা, এই বোধটা আমাদের মধ্যে কমই ছিল। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ১৯৯৬ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন, তখনই কিন্তু তিনি এই গ্রামবাংলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কীভাবে সহায়তা করা যায় সেটা চিন্তা করেছিলেন এবং সেসময় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এসব চালু করেছিলেন। তখন অনেকে বলেছিল এইসব লোক দেখানো, এই ভাতা দিবে? বাংলাদেশের মতো গরিব দেশে সরকার ভাতা দিবে এটা কি সম্ভব? সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানুষের প্রতি কতখানি দরদ, কতখানি মমত্ব থাকলে এটা সম্ভব হয়।
৩০ মে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া বিজেএম কলেজ মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬৬ জন পানচাষীদের ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
অনুষ্ঠানে হানিফ বলেন, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালে সারাদেশ তছনছ হয়েছে, আমাদের সৌভাগ্য এর যে দাপট ও ভয়ংকর ক্ষতি এটা মোকাবিলা করতে হয়নি। আমাদের এলাকাতে ২০১১ সালে আইলা হয়েছিল। হাজার হাজার ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ ত্রিপাল টানিয়ে বেড়িবাধের উপর আশ্রয় নিয়েছিল। পানিতে সব তলিয়ে গিয়েছিল। সেসময় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আজকে প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিদর্শনে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স আপনারা জানেন, এই বয়সে তার যে মানসিক শক্তি তার সাথে পেরে ওঠা যায় না। তার এই মানসিক শক্তি ও শারীরিক সক্ষমতা আল্লাহপাক দিয়েছেন একটা কারণেই, এই যে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তিনিই এদেশের মানুষের জন্য কাজ করেন সার্বক্ষণিকভাবে, তিনিই জানেন কীভাবে মানুষকে সহায়তা করা যায় কীভাবে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়।
হানিফ আরো বলেন, আজকে পানচাষী ভাইয়েদের ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় খুব কম জায়গায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা এত ব্যাপক অর্থ পেয়েছে, কোনো জেলা শহরে এমন হয়েছে কি না আমার সন্দেহ আছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা করেছিলাম। চাল, ডাল, শাড়ি, লুঙ্গিসহ আরো অনেককিছু এবং নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। আজকে যে অনুদান দেওয়া হলো তাতে পানচাষী ভাইয়েরা আগুনে তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে আমার প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন। এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু।
এসময় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ জন পানচাষীকে জনপ্রতি ৪০ হাজার টাকা, ১১০ জন পানচাষীকে জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকা, ৫২৪ জন পানচাষীকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা এবং ২১৯ জন পানচাষীকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা, কুচিয়ামোড়, ফয়জুল্লাপুর, আড়কান্দি ও মাধবপুর এলাকার চাষীদের বিপুল পরিমাণ পান বরজ আগুনে ভস্মিভূত হয়। এতে নিঃস্ব হয়ে যায় হাজারো পান চাষী। অনুদানের এ চেক পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষীরা।
<p>পরিচিতি</p><p>প্রকাশক ও সম্পাদক - মোঃ সালমান শাহেদ</p><p>বার্তা সম্পাদক - সজীব কুমার নন্দী</p><p>যোগাযোগ</p><p>ঢাকা অফিস: ৯৫ আজিজ ম্যানশন, (৩য়) তলা, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান সড়ক, কাকলী বনানী ঢাকা-১২১৩ বাংলাদেশ। </p><p>১৩৪ এন.এস.রোড, কুষ্টিয়া - ৭০০০, বাংলাদেশ।</p><p>ফোন - +৮৮০-১৮৩১-৩৬৬০১২</p><p>ই-মেইল - info@desherpotrika.com</p><p>সতর্কতা</p><p>এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার ও কপি করা বেআইনি।</p><p>© কপিরাইট ২০১৮ । www.desherpotrika.com</p>
Copyright © 2025 দেশের পত্রিকা - দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে. All rights reserved.