

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমীন আসামীর উপস্থিতি এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন শেখ কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের (দারোগার বাগান) মো. আ. ওহাব শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার পর আসামি সুমনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, স্ত্রী রেশমা খাতুনের সাথে স্বামী সুমন শেখের পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। এরই জের ধরে ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টায় মোবাইলফোনে রেশমা খাতুনের সাথে শেষ কথা হয় তার বড়ভাই সুজন হোসেনের। পরদিন সকালে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া
যায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা পৌনে ১২ টার দিকে রেশমা খাতুনের লাশ পাওয়ায় যায় আসামি মো. সুমন শেখের বসতঘরের পূর্বপাশ সংলগ্ন জনৈক নিজাম এর পুকুরপাড়ে। খবর পেয়ে কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রেশমা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মো. সুজন হোসেন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খাইরুল ইসলাম মামলার তদন্ত শেষে আসামি সুমন শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর একটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। উভয় সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ মকরা হয়।