অনলাইন ডেস্ক :
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘শুক্রবারের মধ্যেই উপকূল বা সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে সারা দেশে দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) বৃষ্টি হতে পারে।
৮ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল জানিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে ও উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিন দিন (রবিবার সকাল পর্যন্ত) চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর পানি সমতল দ্রুত বাড়তে পারে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে। এর ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের সতর্কতা, বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তা জারি করেছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও আগামী রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা বেশি) বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে আগামী রবিবার থেকে আবার বৃষ্টি কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।