ডিপি ডেস্ক :
খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের শাপলা চত্বর হয়ে চেঙ্গি এস্কায়ার প্রদক্ষিণ করে শহরের প্রাণ কেন্দ্র মুক্তমঞ্চে এসে বিক্ষোভ পরবর্তী মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
দেশব্যাপী হিন্দুদের উপর নির্যাতন, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মঠ-মন্দিরে আক্রমণের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শাখার ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন,হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও লক্ষ্মী নারায়ন মন্দির সাধারন সম্পাদক নির্মল দেব।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, নৈতিক দায়িত্ব থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবি সরকারের কাছে উত্থাপন করলাম। সরকার সকল সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সনাতনী ধর্মের প্রাণের দাবি মেনে নিলে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতিষ্ঠা হবে মন্তব্য করেন তিনি।
এতে সারাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতন, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মঠ-মন্দিরে আক্রমণের প্রতিবাদ জানান হাজারো মানুষ। সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
৮ দফা দাবি দাবি সমূহ- সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।
‘সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে। ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে। শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটির ঘোষণা দেওযার দাবি জানান।