সাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা, বাড়তে পারে বৃষ্টি : আবহাওয়া অফিস

অনলাইন ডেস্ক :

 

দেশের বেশির ভাগ অঞ্চল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। এতে দেশও প্রায় বৃষ্টিহীন হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জানিয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে মৌসুমি বায়ু দেশ থেকে পুরোপুরি বিদায় নিতে পারে। ফলে সোমবার দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

 

তবে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এতে আবারও দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ কোনো কোনো অঞ্চলে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে। কিছুটা কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বর্তমানে শুধু বাংলাদেশের চট্টগ্রামেই আছে।

সোমবারের মধ্যে এটি চট্টগ্রাম থেকেও বিদায় নিতে পারে। এতে সোমবার সারা দেশের আবহাওয়া মোটামুটি শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে আবার বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে।
সম্ভাব্য লঘুচাপটির প্রভাব ও এর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা সম্পর্কে জানতে চাইলে মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এটি খুব বেশি ঘণীভূত হওয়া বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। এর প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে চার-পাঁচ দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। মূলত দেশের দক্ষিণাঞ্চল—খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি খুব বেশি পরিমাণে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।বিচ্ছিন্নভাবে দু-এক জায়গায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে।’  

 

এদিকে আশ্বিনের শেষ দিকে দেশের কোথাও কোথাও কুয়াশা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বছরের এই সময় দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে কিছুটা কুয়াশা পড়া স্বাভাবিক বলে জানান আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।

 

আগামী কিছুদিনের তাপমাত্রা কেমন থাকতে পারে জানতে চাইলে মনোয়ার হোসেন বলেন, ১৫ অক্টোবরের (মঙ্গলবার) পর থেকে কিছুদিনের জন্য তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। এ ছাড়া ২০ অক্টোবরের পর সাগরে আরেকটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। এর ফলে তখনো কিছু বৃষ্টিপাত হবে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা কমবে।

      
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাতের বিস্তৃতি কিছুটা বাড়তে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলই ছিল বৃষ্টিহীন। এদিন দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫১টি পর্যবেক্ষণাগারের মাত্র ছয়টিতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি অঞ্চলেই রেকর্ডকৃত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল সামান্য (১ মিলিমিটারেরও কম)। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে, ৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া নেত্রকোনা ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দুই মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *