

অনলাইন ডেস্ক :
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তবে রিটার্ন জমা দেওয়ার পর কোনো অসংগতি পাওয়া গেলে করদাতাকে দায়ী করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে গেলে করদাতাদের বিভিন্ন সহায়ক নথি জমা দিতে হয়, যেমন—আয়ের প্রমাণ, ব্যাংক হিসাবের বিবরণী, ঋণ, বাড়ির সম্পত্তির বিবরণীসহ বেশ কিছু নথি। তবে ই-রিটার্ন জনপ্রিয় করতে এসব নথি আপলোড করতে হবে না।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে এনবিআর ই-রিটার্ন সিস্টেম উন্নতিতে কাজ করছে।
করদাতারা সিস্টেমের বিভিন্ন সমস্যা ও সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হচ্ছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ই-রিটার্ন সিস্টেমটি এখন আরো সহজ ও ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে এবং করদাতারা সহজেই ঘরে বসে তাঁদের রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর জমা দিতে গেলে সেখানে করের শতাংশ হিসাবে উচ্চ ফি নেয়—এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রথা অযৌক্তিক।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘প্রয়োজনে করদাতাদের বাড়িতে ভলান্টিয়ার পাঠিয়ে করদাতাদের আয়কর অফিসে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমানো হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা স্বল্প সময়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করার পরিকল্পনা করছি, যাঁরা করদাতাদের বাড়ি গিয়ে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন।’
এ সময় কালো টাকা সাদা করার সুবিধা আংশিক বাতিল করা হয়েছে; জমি ও ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ভাবনা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজেটে বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব, অথবা অপরিহার্য হলে তার আগেও পরিবর্তন করতে পারে।