অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন রমজান মাসে ভোক্তার বাড়তি চাহিদা মোকাবিলায় বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি পণ্য আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। প্রয়োজন বিবেচনা করে আমদানির তালিকায় অন্য পণ্যও যোগ হতে পারে।
৩০ অক্টোবর, বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে জানা যায় এসব তথ্য।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক আছে। এজন্য চাল, ডাল, তেল ও ছোলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রমজানে ছোলা ও সয়াবিনের চাহিদা বেড়ে যাবে, সেই চিন্তা থেকেই সরকার আগেভাগে এগুলোর আমদানির অনুমতি দিয়েছে। চিনি, ছোলা ও সয়াবিন আমদানি করবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
রোজা সামনে রেখে খেজুরের আমদানিও বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিগগিরই খেজুর আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কোনোভাবেই অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়তে দেওয়া যাবে না। মানুষের কষ্ট হয় এমন সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।
জানা গেছে, বুধবারের (৩০ অক্টোবর) বৈঠকে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে পাঁচ হাজার টন চিনি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৯২ পয়সা দরে মোট ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকায় এই চিনি কেনা হবে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন ছোলা ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। প্রতি কেজি ১০৭ টাকা ৩৯ পয়সা দরে মোট ১০১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকায় এই ছোলা কেনা হবে।
এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১৬৩ টাকা ১৫ পয়সা দরে ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এতে মোট ৫৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হবে।