দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্ধুর বাড়ি মোটরসাইকেল রেখে দিয়ে টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে ফেঁসে গেছেন একমটি ওষুধ কোম্পনীর বিক্রয় প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান।
৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের হাতে আটক হয়ে স্বীকারোক্তি ও গণমাধ্যমকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি নিজ দায় স্বীকার করে এমনটি জানিয়েছেন।
কোম্পানীর কাছে অনেক টাকা দেনা হওয়ার কারনে বিভিন্ন ধরণের চাপ ও মানষিক দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচতে এমন নাটক সাজিয়েছিলেন বলে তিনি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এর আগে, রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতপুর-কাতলামারী সড়কের ঘোড়ামরা মাঠের মধ্যে একমি ওষুধ কোম্পনীর বিক্রয় প্রতিনিধি হাফিজুর রহমানকে সশস্ত্র ছিনতাইকারী চক্র অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে বেধড়ক মারপিট করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও কোম্পানীর সংগৃহিত ৪৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয় বলে তিনি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ হাতে পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্তে মাঠে নামেন। একপর্যায়ে হাফিজুর রহমানকে জিঞ্জাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। হাফিজুর রহমান এমন নাটক সাজানোর সরল স্বীকারোক্তি দেয়।
হাফিজুর রহমানের কাছে কোম্পানী অনেক টাকা পাওনা হওয়ায় টাকা উদ্ধারে বিভিন্ন ধরণের চাপ প্রয়োগ করলে তিনি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এরথেকে রেহায় পেতে বন্ধুর বাড়ি মোটরসাইকেল রেখে দিয়ে কোম্পানীর ৪৫ হাজার ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে নিজে হাসপাতালে ভর্তি হোন। পরে পাবনার মুলডুলি থেকে মোটরসাইকেল ও হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি শেখ আওয়াল কবীর বলেন, কোম্পানীর চাপে মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে ছিনতাই নাটক সাজিয়েছিল হাফিজুর রহমান। তাকে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে এবং সে সরল স্বীকারেক্তি দিয়ে ভুল হয়েছে বলে জানায়। মোটরসাইকেল ও টাকা তার হেফাজতে ছিল। এ ঘটনায় পুলিশকে বিভ্রাান্ত করার মামলা হলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটক হাফিজুর রহমান নাটোর জেলার বনপাড়া উপজেলার বড়াইগ্রাম এলাকার লেদু প্রামানিকের ছেলে। সে একমি ওষুধ কোম্পনীর বিক্রয় প্রতিনিধি ছিল।