অনলােইন ডেস্ক: বার্সেলোনার জার্সিতে প্রায় সবকিছুই জিতেছেন মেসি। তবে জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপার দেখা পাননি পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। বেশ কয়েকবার সাফল্যের খুব কাছে গেলেও অধরা থেকে গেছে ট্রফি। ২০০৫ সালে জাতীয় দলে মেসির অভিষেক হওয়ার পর তিনবার কোপা আমেরিকার রানার্স-আপ হয় আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে জার্মানির কাছে হারে তারা।
ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন মেসি। সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের সময় এই ফরোয়ার্ডের বয়স হবে ৩৫।
সমালোচকদের মতে, কেবল ক্লাব ফুটবলে সাফল্য নয়, বিশ্বকাপ জিততে পারলেই নিজেকে সেরাদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে মেসি। তবে এসব সমালোচনা আমলে নিতে রাজি নন জিকো। অমনিস্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের হয়ে নিজের দশ বছরের ক্যারিয়ারে তিনটি বিশ্বকাপ খেলে কখনো শিরোপা না জেতায় হতাশা নেই বলেও জানান দেশটির সর্বকালের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার।
“হতাশার কিছু নেই। এখনকার দিনে মানুষ শুধু অর্জন নিয়ে ভাবে। আমি মনে করি যে আপনার ক্যারিয়ার, আপনার পরিশ্রমই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
“ফুটবল একটা দলগত খেলা। আর অনেক সময় এটা আপনার একার ভালো খেলার ওপর নির্ভর করে না। এটা দলের ভালো খেলার ওপর নির্ভর করে।”
“কখনো কখনো আপনি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবেন। কিন্তু আপনি একটা প্রতিযোগিতার ফল নির্ধারণ করে দিতে পারবেন না। তাই বিশ্বকাপ জেতেনি বলে মেসির যোগ্যতা শেষ হয়ে যায় না।”
“ইয়োহান ক্রুইফ কোনো বিশ্বকাপ জেতেননি। তিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। আর সবসময় তাই থাকবেন।”
বিশ্বকাপের পর চলতি বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরতিতে আছেন মেসি। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ১২৮ ম্যাচ খেলে বার্সেলোনার এই তারকা খেলোয়াড় করেছেন ৬৫ গোল।