শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

অনলাইন ডেস্ক :

 

শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম পূর্ণতা পায় এই মাসে। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। আত্মসমর্পণ করে লেজ গুটিয়ে পালায় হানাদার বাহিনী। অর্জিত হয় বাংলাদেশ নামের নিজস্ব ভূখন্ড, সবুজের বুকে লাল সূর্যখচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা।

বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মার্চের প্রতিরোধযুদ্ধ ক্রমান্বয়ে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে রূপ নেয়। ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে অকাতরে প্রাণ দেন দেশের সব শ্রেণির সব বয়সের মানুষ। ডিসেম্বরে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পিছিয়ে যেতে শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একের পর এক গেরিলা হামলায় নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা। 

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল শত্রুমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা এগোতে থাকেন রাজধানী ঢাকার দিকে। দীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ আর বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর আসে কাক্সিক্ষত বিজয়। বিশ্বের বুকে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালি। মাসটি একদিকে যেমন আনন্দ ও গৌরবের, একই সঙ্গে বেদনাবিধুর। 

মুক্তিযুদ্ধের অন্তিমমুহূর্তে এ মাসেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করতে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংসতায় মেতে ওঠে। পাকিস্তানি বাহিনীর নীলনকশা বাস্তবায়নে ১৪ ডিসেম্বর রাতে দেশীয় দোসরদের সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এর দুদিন পর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে দখলদাররা। শেষ হয় হাজার বছরের বঞ্চনার ইতিহাস। বিজয়ের মাসটি প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *