গাজায় নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাস

অনলাইন ডেস্ক :

 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তোলা একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে।

খবরে বলা হয়, অবিলম্বে জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবিতে তোলা প্রস্তাবে ১৫৮টি ভোট পড়ে দাবির পক্ষে, বিপক্ষে পড়েছে ৯ ভোট এবং অনুপস্থিত ছিল ১৩টি দেশ।

ওয়াশিংটন তার মিত্র ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য কাউন্সিলে আগে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় হামাসের সাথে যুদ্ধ চলছে।

যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে এ ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কাজের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা হয়েছে।

ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড পূর্বের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন যে প্রস্তাবটি গ্রহণ করা ‘লজ্জাজনক এবং ভুল’ হবে। ইসরায়েলের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, ‘আজকের সাধারণ পরিষদে সামনে প্রস্তাবগুলো যুক্তির ঊর্ধ্বে। আজকের ভোটটি সমবেদনার ভোট নয়। এটি জটিলতার জন্য ভোট।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোয় বাতিল হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরই এই বৈঠকের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের মতো এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। 

ভোটের আগে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কয়েক ডজন প্রতিনিধি ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরেও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাশ হয়েছিল। প্রস্তাবটির পক্ষে ১৫৩টি দেশ ভোট দেয় তখন। অন্যদিকে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয় মাত্র ১০টি দেশ। যার মধ্যে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। 

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে জাতিসংঘ জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৮০৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

সূত্র : আল-জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *