অনলাইন ডেস্ক :
সেন্ট কিটসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ৩২১ রান। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে শুরুতেই বিপত্তি বেধেছিল বাংলাদেশের। মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর সৌম্য সরকার আর মেহেদী হাসান মিরাজ গড়েন শতরানের জুটি। তবে মাত্র ৩২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৭৫ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- জাকের আলীর স্বপ্নের মতো ফিনিশিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ৩২১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। এতো রান অতিক্রম করে এর আগে কোনও দলই এই স্টেডিয়ামে জিততে পারেনি।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই জীবন পান সৌম্য সরকার। তবে আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম আউট হয়েছেন শূন্য রানে। তিনে নামা লিটন দাসও ফিরেছেন শূন্য হাতে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আলজারি জোসেফের শিকার জোড়া উইকেট। উইন্ডিজে গিয়ে চরমভাবে ব্যর্থ লিটন দাস। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আউট হয়েছিলেন ৭ বলে ২ রান করে, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ বলে করেন ৪ রান। আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে হয়েছেন ডাক।
দলীয় ৯ রানে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর স্বস্তি এনে দেন সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুইজন মিলে গড়েন ১৩৬ রানের পার্টনারশিপ। আর তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পায় বাংলাদেশ। দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য ব্যক্তিগত ৭৩ রানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে ভাঙে এই জুটি। এরপর মিরাজ প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৭৭ রানের ইনিংস খেলে।
পরপর দুই ওভারে মিরাজকে রান আউট, আফিফের উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের ইনিংস থমকে দেন শেরফানে রাদারফোর্ড। দলীয় ১৭১ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট। এরপর অবশ্য আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলি অনিক।
রিয়াদ-জাকেরের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ৩০০ রান ছাড়িয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ৩২১ রান। দুজনেই হাঁকিয়েছেন ফিফটি। ৬৩ বল খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৮৪ রানে। জাকের আলি অনিক মাঠ ছাড়েন নামের পাশে ৬২ রান নিয়ে।