অনলাইন ডেস্ক :
যথাযথ মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হয়েছে ৫৩তম মহান বিজয় দিবস। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন নগরী ও উপজেলার সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের জনতা। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ ও তাদের শ্রদ্ধায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এরপর সকাল ৭টা ১২ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূস জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলী, মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকালে রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা জানানোর পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হয় সর্ব সাধারণের জন্য। এরপরে সেখানে নামে হাজারো মানুষের ঢল। এ সময় ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয় দেশের জন্য আত্মদানকারী বীর শহীদদের।
এদিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, শিশু-কিশোর ও বয়োবৃদ্ধরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় বীর শহীদদের।
এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন জেলায় ছিল বিজয় দিবসের বিভিন্ন আয়োজন-
চট্টগ্রাম :বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় দিবসের কর্মসূচি আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে-সঙ্গে শুরু হয়েছে। ডিসি পার্ক’র দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে। পরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোশেনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন প্রথমে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান তাদের নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সিরাজগঞ্জ: সূর্যোদয়ের সাথে সঙ্গে সিরাজগঞ্জ বিজয় সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসয় তারা জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। পরে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউসের এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, বিজয় দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলখানা, হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে পরিবেশন করা হয় উন্নত মানের খাবার। এছাড়াও সকল মসজিদ, মন্দির ও গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর: বিভাগীয় নগরী রংপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্বাধীনতা যুদ্ধে মহান শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সুসজ্জিত দল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে।
শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভাগীয় প্রশাসন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলীর নেতৃত্বে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল এবং পুলিশ সুপার শরীফ আহমেদের নেতৃত্বে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। এর পরপরই জেলার সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
নোয়াখালী: নোয়াখালীতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসের প্রথম প্রহরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জেলা স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ও পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুক।
এরপরেই সৃতিস্তম্ভ জেলার সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এ সময় জেলার মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলসহ সর্বসাধারণ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন।
এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দিনভর আলোচনা সভা, বিজয় মেলা, শিশু কিশোরদের জন্য নানান প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
কোটালীপাড়া(গোপালগঞ্জ): দিবসটি ঘিরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পৌর সভার পক্ষ থেকে উপজেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি চত্ত্বরে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান বিজয় দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপরে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিকুল্লাহ। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি দফতর, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সিয়াম আহমেদের নেতৃত্বে সমন্বয়করা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় সাধারণ মানুষের সবার কণ্ঠে ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি অদম্য বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
নওগাঁ: হাজার বছরের গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ। মহান বিজয় দিবস। প্রতি বছর বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় দিনটি পালন করে জাতি। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে নওগাঁয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে ফুল দিয়ে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল। পরে একে একে পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধারা, সিভিল সার্জন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
যশোর: যোগ্য মর্যাদায় যশোরে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা হয়। এবার যশোর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মহান বিজয়স্তম্ভে এই তোপধ্বনির আয়োজন করা হয়।
শুরুতে বিজয়স্তম্ভে বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ পুলিশ কর্মকর্তারা। শ্রদ্ধা নিবেদনের একপর্যায়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সালাম প্রদান করেন পুলিশ সদস্যরা।
এরপর বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুযহারুল ইসলাম মন্টু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী যুব মৈত্রী, যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, আনসার বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
মাগুরা: যথাযোগ্য মর্যাদায় মাগুরায় পালিত হচ্ছে মহান বিজয় দিবস। সকালে নোমানী ময়দানে অবস্থিত শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনটি। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক অহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
দিনটি উপলক্ষে শহরে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত আন্দোলন বিজয় মিছিল বের করে।
এ ছাড়া মাগুরা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক সংগণ কণ্ঠবীথির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় আবৃত্তি অনুষ্ঠান। শহরের নোমানী ময়দানে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে বিজয় মেলা।
কালাই (জয়পুরহাট): দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় কালাই মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এসময় কালাই উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপজেলা প্রশাসন, কালাই পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কালাই জিয়া পরিষদ, কালাই থানা ও পৌর বিএনপির এবং কালাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাখাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট): মহান বিজয় দিবসের সূচনায় বাগেরহাট মোরেলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৭টায় স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম। পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংস,পুলিশ প্রশাসন,বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শ্রদ্ধা জানান।
মেহেরপুর: সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেহের শহরের কলেজ মোড় সংলগ্ন স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিনের শুরুতে শ্রীমঙ্গল পৌর শহীদ মিনারে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন। পরে পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, কোরআন পাঠসহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) টিআইবিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দরা শহীদ মিনারে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাগেরহাট: সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের দশানী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান এবং পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ। এসময় বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। প্রদান করা হয় গার্ড অব অনার। সবশেষ জেলা প
রাঙামাটি: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসূচিতে পালন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। এরপর জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রশাসনের শ্রদ্ধা জানানো পর সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
পরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টায় শহরের জিমনেসিয়াম মাঠে তিন দিনব্যাপিী মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলা উদ্বোধন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জামালপুর: যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের দয়াময়ী এলাকায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের নেতৃত্বে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্মকর্তা মৌসুমি খানম, সির্ভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিন্নাত শহীদ পিংকী, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী, সচেতন নাগরিক কমিটিসহ (সনাক) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।
এদিকে, বিজয় দিবস উপলক্ষে শহরের জিলা স্কুল মাঠে বিজয় মেলা, জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বীর মুক্তিযোদ্ধদের সংবর্ধনাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
ফেনী: বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর ভোর সাড়ে ৬টায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে শহরের জেল রোডে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফেনী জেলা বিএনপি, ফেনী প্রেসক্লাব, জেলা পরিষদ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিজয় মেলা, জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।