বাংলায় ভাষান্তর করা ‘পুষ্পা ২’ মুক্তি ওটিটিতে

অনলাইন ডেস্ক :

 

‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ মুক্তির আগে বেশ জোরেশোরে প্রচারণা ছিল সিনেমাটি তেলুগুর পাশাপাশি আরও কয়েকটি ভাষায় মুক্তি দেওয়া হবে। তালিকায় ছিল বাংলা ভাষাও। সিনেমায় বাংলা ভাষায় প্রচারিত গান ও ট্রেইলার বেশ সাড়া ফেলে, কিন্তু বাংলায় মুক্তি পায়নি দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের এই সিনেমা। তবে নির্মাতারা জানিয়েছেন, ওটিটিতে মুক্তি পাবে বাংলায় ভাষান্তর করা ‘পুষ্পা ২’।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার লিখেছে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে কলকাতায় ‘পুষ্পা ২’র ডাবিংয়ের কাজ শুরু হয়। দিন রাত এক করে কাজ এগিয়ে নেন অভিনয় শিল্পীরা। কারণ তাদের হাতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

প্রথমে হায়দরাবাদের একটি সংস্থার অধীনে ডাবিংয়ের কাজ শুরু হলেও পরে দায়িত্ব দেওয়া হয় পশ্চিববঙ্গের কবি ও গীতিকার-সুরকার শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি বাংলায় ‘পুষ্পা ২’ র চিত্রনাট্যের পাশাপাশি গান লিখেছেন। বাংলায় সিনেমাটির মুক্তি না পাওয়ার কারণ জানতে শ্রীজাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

পশ্চিমবঙ্গে ‘পুষ্পা ২’-এর পরিবেশনার দায়িত্বে আছেন বাবলু দামানি। সিনেমাটি কেন বাংলা ভাষায় মুক্তি পেল না, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট কারণ তার জানা নেই। বাবলু বলেন, “এই সিনেমার ব্যবসা ভালো হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় কেন মুক্তি পায়নি, তা নিয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। এটা নির্মাতারাই ভালো বলতে পারবেন।’’

পরিশ্রম করেও সুফল না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাবিং শিল্পীরা। আল্লু অর্জুনের কণ্ঠের জন্য নির্বাচন করা হয় শুভায়ন রায়কে। কলকাতায় ডাবিং শিল্পী হিসেবে প্রায় ১০ বছরের অভিজ্ঞতা তার। শুভায়ন বলেন, “প্রায় দিন রাত কাজ করে আমরা ডাবিং শেষ করেছিলাম। এমনকি কোনও সংশোধন এলে, সেটাও আমাদের দ্রুত করে দিতে হত।’’

এই সিনেমাটি হলে এসেছে গত ৫ ডিসেম্বর। শুভায়ন জানিয়েছেন মুক্তির দুইদিন আগে অর্থাৎ ডিসেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত তাদের কাজ করতে হয়েছে। হঠাৎ করে তাদের কাছে খবর আসে ‘পুষ্পা ২’ বাংলায় মুক্তি পাচ্ছে না। আক্ষেপ করে শুভায়ন বলেন, “এ রকম বড় মাপের একটা সিনেমা বাংলা ভাষার মুক্তি পেলে অনেকগুলো দরজা খুলে যেতে পারত। অন্তত কলকাতায় একটা শোও যদি দেওয়া হত, তা হলে ডাবিং শিল্পীদেরও একটা পরিচিতি তৈরি হত।”

রাশ্মিকা মানদানার চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন দেবশ্রী মুখোপাধ্যায়। দেবশ্রী বলেন, “ডাবিং ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কেউই ভাবেন না। পায়ের নীচে জমি শক্ত নয় বলে, আমরা প্রতিবাদও করতে পারি না! আমরা তো সিনেমাটি সব জায়াগায় একই দিনে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা মাথায় রেখেই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলাম। ওটিটিতেই যদি বাংলার প্রয়োজন হয়, তা হলে তো পরেও ডাবিং করানো যেত। এতটা তাড়াহুড়ার প্রয়োজন ছিল না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *