অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন নিয়ে ‘একটু’ ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান নুর। তিনি বলেন, ‘১৬ বছর হাসিনার জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে সহ্য করেছি।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রূপ মিয়া হোসাইন রাজ, আইনজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, ঢাকা বারের আহ্বায়ক মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনাসভায় নুরুল হক আরো বলেন, ‘আজকে আমরা রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি-লুটপাটের কথা বলছি, হাসিনার ফ্যাসিবাদের কথা বলছি। হাসিনার ফ্যাসিবাদ হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী আমলাতন্ত্র। এই দেশের এসপি-ডিসিরা বহাল তবিয়তে আছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দেশ ছেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘হাসিনার বিচারের পাশাপাশি প্রশাসনেও যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন, তাদের ন্যূনতম বিচারের মুখোমুখি অবশ্যই করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকার গঠন করেছি। কিন্তু সাড়ে চার মাসেও সরকারের কাজ জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। জনগণ বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা ছিল রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী লড়াকু বিপ্লবীদের নিয়ে একটা বিপ্লবী সরকার হবে। কিন্তু সেটা হয়নি, হয়েছে বন্ধুবান্ধব পরিচিত সার্কেলের একটি সরকার। তারপরও আমরা স্বাগত জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো রাজনৈতিক জোট করিনি। আগামী নির্বাচনে গণ অধিকার পরিষদ এককভাবে ট্রাক প্রতীকে সারা দেশে নির্বাচনে অংশ নেবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে। তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়ররা সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবে। তবে সুশীল সমাজসহ সবাই বলছে এখনই নির্বাচনের জন্য কোনো আন্দোলন নয়।’