চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত ‘ভারতে পাচারকালে দুই তরুণী উদ্ধার, পাচারকারী আটক’

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :

 

ভারতে পাচারকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে সিমা আক্তার (২২) ও সংগীতা বৈরাগী (২০) নামে দুই যুবতীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা। একইসঙ্গে মো. শাহিন হোসেন (২৪) নামের এক মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সংলগ্ন সীমান্ত থেকে তাদেরকে উদ্ধার ও আটক করা হয়।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে দর্শনা থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে নারী পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজিবি কর্তৃক উদ্ধার হওয়া সীমা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

উদ্ধার হওয়া সীমা আক্তার চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী উপজেলার পানিকল বউবাজার গ্রামের মো. শাহজাহান আলীর মেয়ে ও সঙ্গীতা বৈরাগী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ হাজার বাড়ী গ্রামের তরণি বৈরাগীর মেয়ে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ভারতে বিউটি পার্লারের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দুই জনকে জয়নগরের মুহিদুল ইসলামে ছেলে মো. শহিন হোসেন রাশেদের হাতে তুলে দেয় লালটু। পরে সোমবার ভোর ৫টার দিকে পাচার সিন্ডিকেটের হোতা শাহিনের নেতৃত্বে ৭/৮ জন পাচারকারী দর্শনা জয়নগর সীমান্তের ৭৫/৩ নম্বর মেইন পিলারের ২০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে।

এ সময় জয়নগর সীমান্তে টহলরত বিজিবির দর্শনা কোম্পানি সদরের নায়েক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটি ফোর্স তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে শাহিনের সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও বিজির হাতে আটক হন তিনি।

আটককৃত শাহিন হোসেন বিজিবিকে জানান, সীমা ও সংগীতাকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।

এ প্রসঙ্গে দর্শনা থানার ওসি মুহাম্মদ শহিদ তিতুমীর বলেন, দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করার সময় দুই নারীসহ এক পাচারকারী আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মানবপাচারকারী শাহিন জানায় সে পলাতক আসামিদের সহায়তায় পরস্পর যোগসাজশে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ওই দুই যুবতীদের ভারতে পাচার করবে বলে সীমান্ত নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীকে যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামক একটি আইনি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আজ জাস্টিস এন্ড কেয়ার থেকে স্বজনদের জিম্মায় নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *