দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে এ অঞ্চলে উৎপাদিত নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ। শুরুতে দাম ভালো পেলেও গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় কয়েক দফা মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন চাষিরা। তবে গত দু’দিন ধরে পাইকারী ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এরফলে চাষীদের মাঝে ফিরেছে স্বস্থি।
পেঁয়াজ চাষী ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত পেঁয়াজের বাজার ছিল নিম্নমুখী। এসময় পাইকারী বাজারে পেঁয়াজ বিক্রয় হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। তখন পেঁয়াজ চাষীদের মাথায় হাতপড়ে। দাম বাড়াতে তারা আন্দোলনে নামে। এরপর থেকে প্রতিদিন কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে আজ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তারাগুনিয়া বৃহৎ পেঁয়াজের আড়তসহ বিভিন্ন আড়তে কেজিপ্রতি দাম বেড়ে পাইকারী বাজারে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা দরে বিক্রয় হয়েছে পেঁয়াজ।
৩১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার তারাগুনিয়া পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে চাষিদের কাছ থেকে ৪৫-৪৬ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে মুড়ি কাটা পেঁয়াজ।
এসময় বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী বুলবুল আহমেদ বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক দফা। আজ মঙ্গলবার আমরা ৪৬টাকা দরে চাষিদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনেছি। তবে আমদানির উপর নির্ভর করবে পেঁয়াজের বাজার দর বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রয় হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও দুশ্চিন্তা কাটেনি চাষিদের। তারা বলছেন আর কিছুটা দাম বেড়ে বাজার স্থিতিশীল হলে ভালো হতো। এভাবে দর উঠা নামা করলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
নিজাম উদ্দিন নামে এক পেঁয়াজ চাষী বলেন, বর্তমান বাজার দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলে শুধু উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হবে, তবে খুব একটা লাভ হবেনা।
নাসির উদ্দীন নামের আরেক চাষী বলেন, এবার বিঘা প্রতি ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। পেঁয়াজের ভালো দাম না পেলে চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়ব। তবে বর্তমান দাম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে খুচরা ক্রেতাদের মাঝে তেমন একটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। ৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে পেরে সহনশীল দামের মধ্যে রয়েছে বলে জানান খুচরা ক্রেতারা।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যমতে এবছর উপজেলায় ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়জের চাষ হয়েছে।