‘সড়কে কোনো ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেওয়া হবে না’

অনলাইন ডেস্ক :

 

আগামী মে মাস থেকে সড়কে কোনো ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন। 

তিনি বলেন, ‘অটোরিকশার অনেকগুলো সংগঠন। এগুলো নিয়ে আমরা খানিকটা বিপাকে পড়েছি। এক পক্ষকে ডাকলে আরেক পক্ষ আবার অভিযোগ তুলে আমাদের কেন ডাকলেন না।

ফলে সিএনজি অটোরিকশা মিটারে চলা, ভাড়া এবং মালিলকে টাকা জমা দেওয়ার পরিমাণ বিষয়টি ঠিক করা কঠিন হয়ে গেছে।’  

আজ বুধবার দুপুরে মিরপুর ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলে বিআরটিএর সেবা সহজীকরণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এমন কথা বলেন। 

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, রাইড শেয়ারিং হওয়াতে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়ার দৌড়াত্ম কিছুটা কমেছে। কিন্তু অটোরিকশা মালিক সমিতির কারণে গত তিন মাসে আমরা তা ঠিক করতে পারেনি।

এগুলোর একটা নীতিমালা আছে। এটা নিয়ে কমিটি করা আছে। আমরা দুই এক মাসের মধ্যে সিএনজি অটোরিকশার মিটারে চলার ভাড়া, জমা পরিমাণ এগুলো নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব। 

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজধানীর বাসগুলোকে দেখলে বোঝা যায়, এগুলোর কী অবস্থা।

এ জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী মে মাস থেকে সড়কে কোনো ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে ম্যাজিস্ট্রটদের অভিযান শুরু হবে।’ 

ম্যাজিস্টেটদের অভিযানের প্ল্যান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি।বাস ড্রাইভার ও কন্ট্রাক্টরদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করব।’

 

মতবিনিময় সভায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আল লতিফ বলেন, ‘আমি গতকালই (মঙ্গলবার) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। ঢাকার বাসগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এর আগে আরো খারাপ ছিল। আপনার আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ঢাকার পরিবহনব্যবস্থায় অনেক উন্নতি দেখতে পারবেন।’

সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম দুদু বলেন, ‘আমাদের দেশের ড্রাইভারদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়া হয় নাই। এ ছাড়া আমাদের পাঠ্য বইয়ে সড়ক দুর্ঘটনা সর্ম্পকিত সতর্কতার বিষয়ে যুক্ত করতে হবে। বিদেশের সড়কে একটা বিড়ালও ঢুকতে পারেন না। কিন্তু আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই।’

জানা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে অটোরিকশার সংখ্যা নির্ধারিত। গত প্রায় ২০ বছরেও নতুন কোনো অটোরিকশার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এতে করে নির্দিষ্ট কিছু মালিকের কাছে অটোরিকশা নিয়ে আধিপত্য তৈরি হয়েছে। সরকার নির্ধারিত চালকের কাছ থেকে মালিকদের দৈনিক জমা এবং যাত্রীর কাছ থেকে চালকের ভাড়া আদায় কোনোটাই হচ্ছে না। আর যেখানে একটি অটোরিকশার দাম চার লাখ টাকা সেখানে একটি নম্বার প্ল্যাটের দাম বাজারে ২০-২৫ লাখ টাকায় ঠেকেছে। তাই অটোরিকশা কেন্দ্রিক পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে বিপাকে রয়েছে বিআরটিএ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *