কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ডাম্ব ট্রাকের চাপায় এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও তিন শ্রমিক। শনিবার সকাল ৮ টা ১০ মিনিটের দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সৈয়দ মাসুদ রুমী সেতুর পূর্বদিকে বাঁশআড়া এলাকা এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিকের নাম মো. রাজু (২৪)। তিনি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে। আহতরা একই এলাকার সিরাজুল (৩৫), বিল্লাল (৩৩) ও আশরাফ (৩৫)। তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়াই নদী থেকে বালু উত্তোলন ও সড়কে ডাম্ব ট্রাক চলাচল বন্ধ ও দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন কয়েক শত বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া- রাজবাড়ী সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সড়কের পশ্চিম ও পূর্বদিকে কয়েক কিলোমিটার যানজট ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেন তারা।
অপরদিকে সড়কের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়াই নদীর কয়া বাজার এলাকায় ৯টি ডাম্প ট্রাক, ৫টি ভেকু ও ২টি প্লেটার যন্ত্র ভাঙচুর এবং যন্ত্রগুলোর ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাঁশআড়া এলাকার মুদি দোকানি মোক্তার হোসেন বলেন, সকাল ৮টা ১০মিনিটের দিকে ড্রাম ট্রাকটি ইউটার্ন নিতে গিয়ে ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীরা সড়কে পড়ে যায় এবং ট্রাকটি যাত্রীদের শরীরকে চাপা দিয়েই চলে যায়। পরে বিভিন্ন মানুষ এসে প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অপরোধ করে রাখেন। তার ভাষ্য, ট্রাকের কারণে প্রতিদিনই সেখানে ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে।
ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে নিহত রাজুর চাচা আমিরুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন ও সড়কে ড্রাম ট্রাক বন্ধ এবং শাস্তির দাবিতে আমরা লাশ নিয়ে অবরোধ করেছি। পরে প্রশাসন আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নিয়েছি।
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, নদীতে কিছু ট্রাক ও বালু কাটা যন্ত্র ভাঙচুর এবং কিছু যন্ত্রাংশ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জনগণের দাবির বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।