কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মেলার নামে জুয়া ও মাদকের আসর

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর ‘জুয়া খেলা যত দিন, মেলা চলবে ততদিন’ এই স্লোগানে। সেইসাথে বসছে মাদকের হাট। প্রকাশ্যে এমন অবৈধ ও নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিভাবক ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

 

দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা রফিক তেল পাম্পের সামনে চামনাই গ্রামের একটি বাগানে গত ৬ জানুয়ারি থেকে মেলার নামে জুয়া খেলার আসর, মাদক সেবনসহ আসামজিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড চলে আসছে আর সেখানে উঠতি বয়সী যুবকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।

 

জানা গেছে, চামনাই যুব সংঘের ব্যানারে স্থানীয় একটি অসাধু চক্র এ মেলার আয়োজন করেছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় জুয়ার আসর, সেইসাথে চলে মাদকের কারবার। সর্বসাধারণকে আকৃষ্ট করতে সেখানে গানবাজনারও আয়োজন রয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এসব কর্মকাণ্ড। আয়োজকদের দাবি তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেলা চালাচ্ছেন। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন মেলার বিষয়টি তারা অবগত নন।

 

১১ জানুয়ারি, শনিবার রাতে মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, মঞ্চের পেছনেই বাসানো হয়েছে জুয়ার আসর। সেখানে উঠতি বয়সী যুবকসহ কিশোর বয়সীদেরও জুয়া খেলায় অংশ নিতে দেখা গেছে। জুয়ার আসরের আশপাশেই বসতে দেখা গেছে মাদকের আসর।

 

সেখানেও উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সেবনে মত্ত হতে দেখা গেছে। আর সেখানে স্থানীয় মাদক কারবারীদের এসব মাদক সরবরাহ করতে দেখা গেছে। আবার গান বাজনাতেও রয়েছে একধরণের অশ্লীলতা। চামনাই ও আশাপাশের গ্রামসহ দৌলতপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলায় আসা মানুষগুলো জুয়া খেলে ও মাদকে আসক্ত হয়ে নিস্ব হয়ে বাড়ি ফিরছে। মেলায় আগত বিভিন্ন পন্য সামগ্রী বিক্রেতারা জানান, জুয়া খেলা যত দিন, মেলা চলবে ততদিন। তাই মেলার নামে এমন অবৈধ ও অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।

 

তবে মেলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, আল্লারদর্গার আশপাশে মেলা চলছে এমনটি আমিও (শনিবার) দুপুরে শুনেছি। বিষয়টি দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। মেলা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *