Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা এক গ্রামেই ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের নতুন মসলেমপুর গ্রামেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৩০ রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ রুপ নিয়েছে যে মসলেমপুর নতুন গ্রামে কারো জ্বর দেখা দিলেই সাধারন মানুষের ধারনা যে তার ডেঙ্গু হয়েছে। মসলেসপুর গ্রাম থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে শহরে যাওয়া শতকরা ৯০ ভাগ মানুষেরই ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা হলেন, ফারুক হোসেনের স্ত্রী শিউলী, এমদাদুল হকের স্ত্রী আফরোজা, নেহেরুলের পূত্র সুমন, আলীমের স্ত্রী রীমা, মহাবুলের স্ত্রী রাশেদা, আরশেদের পূত্র জীবন, মৃত আবুলের পূত্র বাবু ও বাবুর স্ত্রী, কবীরের স্ত্রী দিপা, ছিদ্দিকের স্ত্রী নাহার, মৃত কলিম উদ্দীনের পূত্র শরিয়ত, আসহাবের স্ত্রী বানু, দুলালের পূত্র রুমন, লিটনের স্ত্রী শিউলী, মিলনের স্ত্রী, মোজাম্মেলের কন্যা ববি, আফতাব কারিগর, মৃত তোবারক খন্দকারের পূত্র লিটন, ভোলা’র পূত্র আশিক, মৃত আজিজলের স্ত্রী রোকেয়া, মৃত রহিমের পূত্র এনামূল, এনামূলের স্ত্রী দুখিনী, তাহাজদ্দী’র পূত্র রিকেট, তরিকুলের পূত্র রাতুল, মনি’র কন্যা তিহাম, সাত্তারের স্ত্রী রিনা, সাইদুল মাষ্টারের কন্যা জান্নাতুল, মৃত বানেজ কারিগরের পূত্র মহাবুল, আদা কারিগরের কন্যা বৃষ্টি, মৃত সুকচাদের পূত্র রবিউল। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতাল, কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মসলেমপুর গ্রামের জনগন বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।

ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আমিন বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন অনেকেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনি এ সময় মশার কামড় থেকে দূরে থাকাসহ মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করা ও পরিত্যক্ত জিনিসপত্র বোতল, নারিকেলের খোসা, টায়ারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখা এবং ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি ডেঙ্গু আক্রান্তদের পানি ও পানি জাতীয় খাদ্য (ডাব, শরবত, পেঁপে) বেশি খাবার পরামর্শ দেন।
এলাকায় জনগনের মধ্যে ব্যপক সচেতনা তৈরী ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ছবি।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল মারুফ জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে গোটা শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, মশক নিধনের জন্য ঔষুধ ছিটানো, গণ সচেতনতা বাড়ানোর জন্য শহর জুড়ে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও মশক নিধনের ঔষধ ছিটানোর কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এডিস মশার বংশ-বিস্তার ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মসলেমপুর গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফগার মেশিন দিয়ে এডিস মশা ধ্বংসে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

Exit mobile version