অনলাইন ডেস্ক :

বিশ্ব ইজতেমা এবং আখেরি মোনাজাত ২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এবং সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে মুসল্লিদের প্রতি কিছু বিষয় মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি।

বৃহস্পতিবার ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনারের (ট্রাফিক উত্তর) কার্যালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পর্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা ১৫ নং সেক্টর এলাকাধীন কদমআলী মার্কেট, ৫নং ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নং সেক্টর উলুদাহ মাঠ; সিলেট ও খুলনা বিভাগের পর্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা উত্তরাস্থ ১৫ নং সেক্টর লেকপাড় মাঠ; রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের পর্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা ১০নং ব্রিজ এবং ১১ নং ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্থ, ১৬ নং সেক্টরের ভিতরে এবং বউবাজার মাঠ; বরিশাল বিভাগের পর্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত এলাকা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন এবং ঢাকা মহানগরীর জন্য পার্কিং এলাকা ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গা।
 
বিশেষ নির্দেশনাগুলো হলো : 
১. আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারি যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর, খউড় ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয়সরণী-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।
 
২. অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহনগুলো কামারপাড়া অথবা আব্দুল্লাপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী, দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে মিরপুর বেড়ীবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।
 
৩. ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আসা যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে প্রগতি স্মরণী হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।

৪.  আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ডোর ৪টা থেকে ৩০০ ফিট দিয়ে আসা যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্ট গামি) পরিহার করে প্রগতি সরণী এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামি) ব্যবহার করবে। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।

৫.  আখেরি মোনাজাতের দিন (২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা বা এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
 
৬.  উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সব প্রকার যানবাহনের চালকরা বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় স্মরণী হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।

৭. ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমা স্কুলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর উপরে নির্মিত পন্টুন ব্রিজ অথবা কামারপাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াতের জন্য অনুরোধ করা হলো।

৮.  আখেরি মোনাজাতের দিন বিদেশগামী যাত্রীদের বিমান বন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য পদ্মা ইউলুপ, কুড়াতলী লুপ-২ এবং নিকুঞ্জ-১ ক্যাঁচি গেট হতে ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রিদের জন্য পরিবহন (ফ্রি) সেবা দেয়া হবে।

৯.  নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিং এর সময় অবশ্যই গাড়ির চালক বা হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীরা ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।

১০. মুসল্লিবাহী প্রতিটি যানবাহনের দৃশ্যমান স্থানে চালকের নাম এবং মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।

১১. ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইডারের নিচে আব্দুল্লাহপুর বেইলি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে সব যানবাহন চালকদের আজমপুর হতে ফ্লাইওভার ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

১২. সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে ফ্লাইওভার দিয়ে পারাপার না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

১৩. খিলক্ষেত থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।