আন্তজাতিক ডেস্ক : ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার জন্য আটক করা হয়েছে মার্কিন ও ব্রিটিশ ড্রোনে ৷ আর এবার সেগুলির একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করল ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। গত শনিবারে তেহরানে আয়োজিত এই প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্রিটিশ পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন ‘ফিনিক্স’। আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশন ড্রোনটিকে আটক করেছে।
যেকোনো আবহাওয়ায় দিবারাত্রির সময় শত্রুর অবস্থানে হামলা চালানোর কাজে ব্রিটিশ ড্রোন ‘ফিনিক্স’ ব্যবহার করা হয়। শত্রু বাহিনী বা দেশের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি এমনকি আকাশে উড়ন্ত বিমান নিয়ন্ত্রণের কাজেও এই ড্রোনটি ব্যবহার করা হয়। ৫.৬ মিটার লম্বা ডানাবিশিষ্ট এই ড্রোন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬৬ কিলোমিটার বেগে চলে এবং টানা পাঁচ ঘণ্টা আকাশে উড়তে সক্ষম।
এদিকে, আইআরজিসি’র প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া একটি মার্কিন ড্রোনের নাম ‘অ্যারোসন্ড এইচকিউ’। ভূমির অবস্থান থেকে সোজা উপরের দিকে উড়ে যেতে সক্ষম এই ড্রোন ইলেকট্রনিক যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। দিবারাত্রির যেকোনো সময় শত্রুর অবস্থানে গুপ্তচরবৃত্তি করার কাজেও এটি ব্যবহৃত হয়। এই প্রদর্শনীতে আমেরিকায় তৈরি ‘ডেজার্ট হক’ নামের আরেকটি ড্রোন প্রদর্শন করা হয়। ০.৮৬ মিটার লম্বা এবং ৩.২ কেজি ওজনের এই ড্রোন একটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রায় এক ঘণ্টা আকাশে উড়তে সক্ষম।
ইরান এর আগে একাধিকবারে ঘোষণা করেছে তাদের হাতে আটক শত্রু বাহিনীর যেকোনো ড্রোনের ওপর রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং চালিয়ে তারা এগুলোর প্রযুক্তি রপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া গত জুন মাসে ইরানের হরমুজগান প্রদেশের আকাশসীমায় একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে ভূপতিত করেছিল আইআরজিসি।
তবে এই ড্রোনটিকে অক্ষত অবস্থায় হস্তগত করতে পারেনি ইরান। তবে ২০১৫ সালে আফগানিস্তান থেকে উড়ে আসা একটি মার্কিন ‘আরকিউ-১৭০ সেন্টিনেল’ ড্রোন অক্ষত অবস্থায় নামিয়ে এনেছিল তেহরান। ড্রোনটি ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করার পর ইরানি বিশেষজ্ঞরা এটির রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং নির্বিঘ্নে মাটিতে নামিয়ে আনেন।