দুটি কিডনি হারিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী বাবলুর বাঁচার আকুতি

এবিএস রনি, যশোর প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কুলবাড়ীয়া গ্রামের বাবলু হোসেনের দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। দুটি কিডনি হারিয়ে বর্তমানে হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যু প্রহর গুনছে সে।সংসারে অভাব অনটনের কারনে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে স্বামীর সু- চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন বাবলুর অসহায় স্ত্রী।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,বিগত বছর চার আগে বাবলু একটা ঔষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতো।হঠাৎ তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে সাতক্ষীরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার কিডনির হালকা সমস্যা আছে বলে ডাক্তার জানান।পরবর্তিতে বাবলু ভারতে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখান কার ডাক্তারও কিডনি নষ্ট হয়েছে বলে জানায়।এর পর সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর অর্থনৈতিক ঘাটতি দেখা দিলে তারা বাড়ীতে ফিরে আসে। কিছুদিন পর হঠাৎ তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত ৯ সেপ্টেম্বর তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চায়না বাংলা হাসপাতালের আইসিওতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অভাবের তাড়নায় সংসারে খরচ বহন করে চিকিৎসা চালানো সম্ভব হচ্ছিলো না। খরচ যোগাতে না পেরে সেখান থেকে বর্তমানে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাবলু কুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

পিতা এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে বাবলুর স্ত্রী জানান, বাবলুর বাবা তার মাকে ফেলে অন্যত্রে বিবাহ করে থাকে। তার আর এক ভাইয়ের সাথে জনম দুখিনী মা আলাদা থাকে। দেখ ভাল করার মতো বাবলুর কেউ নাই। সংসারে হাল ধরতে বাবলুর স্ত্রী বর্তমানে বাড়ীতে সেলাই ম্যাশিন চালিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি চিকিৎসা চালাতেন বাবলুর। কিন্তু একার পক্ষে এতবড় ব্যায়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে সপ্তাহে দুটি করে ডাইলোসিস দিতে হয় বাবলুর। একমাত্র মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে। অভাবের কারনে নানার বাড়ীতে থেকে পড়াশুনা করতে হয় তার। পিতা মাতার ভাঙ্গা চোরা সংসারের বর্তমান অবস্থা খুবই পিড়া দেয় তার। ‘

‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না,, জীবনমুখি এমন একটি জীবনের গান মনে করে নয়ন ভরে কাঁদছে বাবলু ও পরিবার। মৃত্যু পথযাত্রী বাবলুর সাহায্যের জন্য এবং সার্বিক যোগাযোগের জন্য বিকাশ নং- ০১৭৭৩৪৮৯৪৫১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *