

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলশিক্ষার্থী মারা যাওয়ার সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় একটি পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। থানায় এজাহার দিতে গেলে গড়িমসি ও বিলম্ব করে পুলিশ। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেহাবুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওসি শেহাবুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
এদিকে, ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও হামলাকারীদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মূসূচি পালন করেন। হামলাকারীদের আটকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা।
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগরের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক হাসান আলীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক মিজানুর রহমান লাকি, নাহিদ হাসান তিতাস, নুরুন্নবী বাবু, মুন্সী শাহিন আহমেদ জুয়েল।
গতকাল রবিবার কুষ্টিয়ার প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। এ ঘটনা ‘দৈনিক খবরওয়ালা’ পত্রিকার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ করার সময় পুলিশের উপস্থিতিতেই রকি (৩২) এবং আরিফুলসহ (৩৩) আরো ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইমরানের ওপর হামলা চালান। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা ইমরানের কাছে থাকা অফিসের ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বয়া (মাইক্রোফোন) ছিনিয়ে নেয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত এজাহার জমা দেন।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, রাতেই এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, রবিবার রাতেই কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি শেহাবুর রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।