

অনলাইন ডেস্ক :
তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ সংসদ এবং সরকার যতক্ষণ না গঠিত হবে ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করে দলমত, ধর্ম-দর্শন যার যার, কিন্তু রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার। সুতরাং, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের সবার সামনে আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি বড় সুযোগ।
তারেক রহমান বলেন, ‘গত ১৭ বছর আপনাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সনতানী জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বিতাড়িত পলাতক স্বৈরাচারের সময় গত দেড় দশকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা তাদের ধর্মীয় স্থাপনা অথবা বসতবাড়িতে হামলার ঘটনাগুলো যদি আমরা পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখব হাতেগোনা দুই একটি ঘটনা ছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু কেন্দ্রিক অধিকাংশ হামলার ঘটনা কিন্তু ধর্মীয় কারণে হয়নি। প্রত্যেকটা ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্ত করলে স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমরা যদি অধিকাংশ ঘটনাগুলোর নেপথ্যে দেখি, ঘটনাগুলো যাচাই-বাছাই করি তাহলে আমরা দেখব এই ঘটনাগুলোর নেপথ্যে ছিল অবৈধ লোভ। লাভের জন্য দুর্বলের ওপর সবলের হামলা। কিংবা অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। সেজন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান ধর্মীয় পরিচয়কে ভবিষ্যতে আর যাতে কেউ নিজেদের হীন স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে। সে ব্যাপারে আপনাদেরও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
তারেক রহমান বলেন, ‘সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এটি কোনো একটি দেশের জনসংখ্যার চরিত্র বৈশিষ্ট নির্ণয়ের জন্য কেবল একটি শব্দ মাত্র। এর থেকে বেশি কিছু নয়। এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি, বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংশয়বাদী বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র গর্বিত পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। এই বাংলাদেশ আপনার, আমার আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমধিকার ভোগ করবে। এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন মঠ মন্দিরের সাধু সন্ন্যাসী, জেলা ও আঞ্চলিক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।