

নাটোর প্রতিনিধি :
দুপুরের দিকে গোলাম কিবরিয়া ডিমটি সংগ্রহ করে বাড়িতে আনেন। ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্রে ওজন করে দেখতে পান, ডিমটির ওজন প্রায় ১৮০ গ্রাম। বিষয়টি তিনি ফোন করে স্থানীয় পশু চিকিৎসককে জানান।
তবে ডিমটি কোন মুরগি দিয়েছে, তা নিশ্চিত হতে পারেননি খামারের মালিক গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, তাঁর খামারে এই একটিমাত্র বড় আকারের ডিম পাওয়া গেছে। কোন মুরগি ডিমটি দিয়েছে তা নিশ্চিত নন তিনি।
লালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, আগে কখনো এত বড় ডিম তিনি দেখেননি। কোনো মুরগি অনিয়মিত ডিম দিলে তার ডিমে একাধিক কুসুম থাকতে পারে, যার ফলে ওজন ৮০-১০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। তবে ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পাওয়া অত্যন্ত বিরল ঘটনা।
তিনি বলেন, সাধারণত একটি লেয়ার মুরগির ডিম ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম হয়ে থাকে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম ঘটনা। তার চাকরিজীবনে মুরগির এত বড় ডিমের কথা এ প্রথম শুনলেন এবং দেখলেন।
তিনি আরও বলেন, অস্বাভাবিক আকারের এ ডিম নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন। আবার কেউ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডিমের গঠন নিয়ে গবেষণার কথা বলছেন। তাই এটি নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাই খামার মালিককে এ ডিমটি আপাতত সংরক্ষণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।