মাগুরায় আছিয়ার দাফন সম্পন্ন

মাগুরা প্রতিনিধি :

 

মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেল মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া। চার-চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথিবীই ছাড়তে হলো তাকে। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে নির্যাতনের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়া দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

আজ বিকালে আছিয়ার মরদেহ হেলিকপ্টারে মাগুরা স্টেডিয়ামে আসার পর শহরের নোমানী ময়দানে নামাজে জানাজা হয়। পরে বাদ মাগরিব তার লাশ শ্রীপুর সোনাইকুণ্ডী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মাগুরায় আছিয়ার বাড়িসহ গোটা এলাকায় এখন মাতম। আছিয়ার মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা ফেরদৌস শেখ কিছুই বলতে পারছেন না। বুক চাপড়ে কাঁদছেন আছিয়ার মা, ভাই বোনসহ অন্য স্বজন।
 
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরার শ্রীপুরে জারিয়ায় আছিয়ার গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে মৃত্যুর খবর শুনে সবাই ভিড় করছে ওই বাড়িতে। 

স্থানীয় সব্দালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পান্না খাতুন বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, হিটু শেখসহ ৪ আসামির ফাঁসি। একই ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য রূপ কুমার বলেন, ‘আমরা শুধু ফাঁসি চাই না। এটা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হয় সেই দাবি সরকারের কাছে রাখছি।’

এভাবে সবার মুখে একটাই দাবি ধর্ষকদের ফাঁসি। এছাড়া বিচার কার্যক্রম যে কোনো প্রকারেই বিলম্বিত না হয়। সেই একই দাবি সবার মুখে।

এদিকে যে বাড়িতে আছিয়া নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেই বাড়িটি এখন এলাকাবাসী ধর্ষক হিটু শেখের বাড়ি হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এ বাড়িটিতে এখন কেউ নেই।

বাড়ির মালিক ধর্ষক হিটু শেখ, তার স্ত্রী জাবেদা বেগম, দুই ছেলে সজীব শেখ, রাতুল শেখ সবাই কারাগারে।

বিকালে আছিয়ার মরদেহ হেলিকপ্টারে মাগুরা স্টেডিয়ামে আসার পর শহরের নোমানী ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে বাদ মাগরিব তাকে শ্রীপুর সোনাইকুণ্ডী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। গোটা কবরস্থানের আশপাশে আছিয়ার স্বজনসহ গ্রামবাসীর কান্নার শব্দে ভারি হয়ে উঠে গোটা পরিবেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *